Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

উৎসবের মরশুমে আবর্জনায় মুখ ঢেকেছে হলদিয়া শহর

উৎসবের মরশুমে আবর্জনায় মুখ ঢেকেছে হলদিয়া শহরের। পুরসভার আবর্জনা ও কারখানার বর্জ্য থেকে ব্যাপক দূষণ ছড়ানোয় অতিষ্ঠ শহরবাসী।
প্লাস্টিক আবর্জনা নিকাশি নালায় ছড়িয়ে পড়ায় শহরের নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে। হলদিয়ায় আবর্জনা ও বর্জ্য…

 




 উৎসবের মরশুমে আবর্জনায় মুখ ঢেকেছে হলদিয়া শহরের। পুরসভার আবর্জনা ও কারখানার বর্জ্য থেকে ব্যাপক দূষণ ছড়ানোয় অতিষ্ঠ শহরবাসী।


প্লাস্টিক আবর্জনা নিকাশি নালায় ছড়িয়ে পড়ায় শহরের নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে। হলদিয়ায় আবর্জনা ও বর্জ্য পরিস্কার এবং প্রক্রিয়াকরণের জন্য কোটি কোটি খরচের পরও শহর পরিচ্ছন্ন না থাকায় পুর পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ, শহর পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য যে বেসরকারি ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থাকে পুরসভা দায়িত্ব দিয়েছে, তারা নিয়মিত সাফাই কাজ করছে না। ফলে শহর জুড়ে আবর্জনার পাহাড় জমছে। এদিকে, চুক্তিমতো ওই সংস্থাকে বছরে প্রায় ৫ কোটি টাকা মেটাতে হয় পুরসভাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এনিয়ে সরব হয়েছেন পুরসভার মানুষজন। বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাকে পুজোর ছুটির পরই কড়া চিঠি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ।

বাসিন্দারা বলেন, পুরসভার আবর্জনা সংগ্রহের গাড়ি নিয়মিত এলাকায় আসে না। ভ্যাট সময়মতো পরিস্কার না হওয়ায় আবর্জনা উপচে রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে। দিনের পর দিন এঘটনা ঘটলেও পুর কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই বলে অভিযোগ। পুজোর সময় থেকে দুর্গাচক, সিটি সেন্টার, টাউনশিপের মতো শহরের প্রাণকেন্দ্রের জনবহুল এলাকায় আবর্জনা জমে কার্যত পাহাড় হয়ে গিয়েছে। বর্জ্য সংগ্রহের সময় প্লাস্টিক আবর্জনা আলাদা করে সংগ্রহের নির্দেশ থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। এরজন্য সম্প্রতি বর্জ্য পৃথকীকরণের গাড়ি পুরসভাকে দিয়েছে রাজ্য সরকার। ঘটা করে তার উদ্বোধন হলেও সেগুলি সঠিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না। এদিকে, বর্জ্য পৃথকীকরণের জন্য বাড়ি বাড়ি বিলির জন্য রাজ্য থেকে লক্ষাধিক বালতি দেওয়া হয়েছিল। সেই বালতির বিলিবণ্টন ও সঠিক ব্যবহার নিয়ে পুরসভার নজরদারি অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ।


পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভার ২৯টি ওয়ার্ড ও সংলগ্ন এলাকায় ৯৮টি বড় আকারের লোহার ভ্যাট রয়েছে। নিয়ম হল, বাড়ি বাড়ি আবর্জনা সংগ্রহের পর তা ভ্যাটে জমা করা হয়। আবর্জনা মণ্ড করার বিশেষ গাড়ি কম্পাক্টর গিয়ে ভ্যাট থেকে সেগুলি সংগ্রহ করে শ্রীকৃষ্ণপুরে ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট কারখানায় নিয়ে যায় প্রক্রিয়াকরণের জন্য। এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রামকি নামে একটি বেসরকারি সংস্থাকে। ওই সংস্থার গাড়ি এসে আবর্জনা সংগ্রহ করে। একাজে সহায়তার জন্য পুরসভা দুটি দামি কম্পাক্টর মেশিন ও বর্জ্য পৃথকীকরণ গাড়িও সরবরাহ করেছে ওই সংস্থাকে। আবর্জনা সংগ্রহের জন্য ওই সংস্থাকে টন পিছু প্রায় ২৫০০টাকা মেটাতে হয় পুরসভাকে। বছর কয়েক আগে এই খরচ ছিল টনে ১৭৫০টাকা। শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে কয়েক বছর আগেও যেখানে পুরসভাকে মাসে ২৫লক্ষ টাকা মেটাতে হত, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০লক্ষ টাকার উপর। 

বেসরকারি সংস্থাকে শহর সাফাইয়ের  দায়িত্ব দেওয়া হলেও তা দেখভালের জন্য পুরসভার বিশেষ দপ্তর, আলাদা চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল এবং ওয়ার্ড ভিত্তিক সুপারভাইজার রয়েছেন। অভিযোগ, সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়ে পুর কর্তৃপক্ষ সাফাইয়ের দায় এড়াতে চাইছে। পুরসভার কাউন্সিলারদের একাংশ এঘটনায় পুর কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবকে দায়ী করেছেন। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নারায়ণচন্দ্র প্রামানিক নিজেই রামকির সাফাই নিয়ে ক্ষুব্ধ। তিনি বলেন, দুর্গাচকে তাঁর ১০নম্বর জনবহুল এলাকায় পুজোর সময় ঠিকমতো সাফাই হয়নি। এনিয়ে তিনি ওই সংস্থাকে ফোন করার পর তারা গাড়ি খারাপের অজুহাত দেয়। পুরসভার চেয়ারম্যান সুধাংশুশেখর মণ্ডল বলেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাকে সাফাই ঠিকমতো হচ্ছে না বলে বার বার বলা হয়েছে। বাড়তি টাকা দেওয়ার পরও ওই সংস্থা পরিষেবায় গাফিলতি করছে। এজন্য পুজোর পরই চিঠি দেওয়া হবে। এবিষয়ে রামকির কর্মকর্তারা মুখ খুলতে চাননি।

No comments