রাত পোহালেই লক্ষ্মী পূজো। প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাঝে শেষ তুলির টানে প্রতিমা শিল্পীরা। দেবি দুর্গা কৈলাশে পাড়ি দিতে না দিতেই বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের জেরে শনিবার বিকেলে থেকে দফায় দফায় বৃষ্টি হওয়ায় চিন্তায় পড়েছেন প্রতিমা শিল্…
রাত পোহালেই লক্ষ্মী পূজো। প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাঝে শেষ তুলির টানে প্রতিমা শিল্পীরা। দেবি দুর্গা কৈলাশে পাড়ি দিতে না দিতেই বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের জেরে শনিবার বিকেলে থেকে দফায় দফায় বৃষ্টি হওয়ায় চিন্তায় পড়েছেন প্রতিমা শিল্পীরা। সঠিক সময়ে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করতে পারবেন কি না তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। কারণ গত কয়েকদিনে দফায় দফায় বৃষ্টিতে ব্যাহত হয়েছে কাজ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রতিমা শিল্পীরা করোনার কারনে গত বছর তেমন লক্ষ্মী প্রতিমা তৈরির বরাদ পাননি । এবছর ২০ থেকে ২৫ টা প্রতিমা বানানোর বরাদ পেয়েছেন শিল্পীরা। এই পরিস্থিতিতে গত কয়েকদিনে আকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘের জায়গায় কালো মেঘে ছেয়ে যায়। বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিতে জেরবার জনজীবন। এতেই চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে মৃৎশিল্পীদের। প্রতিমাকে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে কোনওরকমে কাজ চলছে। এদিকে বুধবারের মধ্যে প্রতিমা মন্ডপে পৌঁছাতে হবে। কিন্তু বৃষ্টির কারনে প্রতিমার ভেজা মাটি শুকতেও অনেক সময় লেগে যাচ্ছে। অনেকটা সময় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কয়েক ঘন্টায় প্রতিমার কাজ কতটা সম্পূর্ণ হবে সেটাই বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা। অনেক প্রতিমার কাজ এখনও অর্ধেক হয়ে পড়ে আছে। আবার মাটি না শুকলে রঙের প্রলেপ দেওয়া যাবে না। এখন প্রতিমা শুকাতে একমাত্র ভরসা বলতে ব্লু ল্যাম্প। কিন্তু গ্যাসের যা দাম বেড়েছে তার জোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছেন শিল্পীরা।
বিজ্ঞাপন
নিম্নচাপের জেরে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। প্রতিমা তৈরি করতে গিয়ে খুব সমস্যায় পড়তে হচ্ছে প্রতিমা নির্মাতাদের। মেঘলা আকাশের কারণে প্রতিমা শুকতে সময় লাগছে। যার কারনে রঙের প্রলেপ দেওয়া যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে কাজ করব সেটাই বুঝতে পারছেন তাঁরা।একদিকে করোনায় পুজোর সংখ্যা কমেছে তার উপর প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রতিমা সঠিক সময়ে তৈরি করা নিয়ে চিন্তায় শিল্পীরা।
বিজ্ঞাপন
No comments