কফি হল চায়ের পর বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনপ্রিয় পানীয় ফসল। বিশ্বের ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে কফি চাষ করা হয়। মূলত রোবাস্টা ও আরবীয় এই দুইপ্রকার কফি উৎপাদিত হয়। আর কফি উৎপাদনে ব্রাজিল বিশ্বে প্রথম স্থান অধিকার …
কফি হল চায়ের পর বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনপ্রিয় পানীয় ফসল। বিশ্বের ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে কফি চাষ করা হয়। মূলত রোবাস্টা ও আরবীয় এই দুইপ্রকার কফি উৎপাদিত হয়। আর কফি উৎপাদনে ব্রাজিল বিশ্বে প্রথম স্থান অধিকার করে। ১৭২৭ সালে ব্রাজিলের পারা প্রদেশে প্রথম কফি বাগিচা গড়ে ওঠে। গত ১৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্রাজিল কফি উৎপাদনে প্রথম স্থান অধিকার করে আসছে। ব্রাজিলের যে ৬ টি প্রদেশ কফি উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে, সেগুলি হল -- মিনাস জেরাইস (প্রথম স্থানাধিকারী), এসপিরিটো সান্টো, সাও পাওলো, বাহিয়া, রন্ডোনিয়া, পারানা। সারা ব্রাজিল জুড়ে ২৭০০০ বর্গকিমি এলাকায় কফি চাষ করা হয় এবং ব্রাজিলে ২,২০,০০০ কফি বাগিচা রয়েছে। ব্রাজিলে কফি বাগিচাগুলি ফাজেন্ডা নামে পরিচিত। ওয়ার্ল্ড অ্যাটলাসের তথ্যানুযায়ী, ২০১৯ সালে ব্রাজিলে উৎপাদিত কফির পরিমাণ ছিল ২৬.৫২ লক্ষ মেট্রিক টন। ইন্টারন্যাশনাল কফি অর্গানাইজেশনের তথ্য অনুসারে, ২০২০ সালে ব্রাজিলে উৎপাদিত কফির পরিমাণ ৬.৯০ কোটি কফি ব্যাগ (প্রতিটি ব্যাগ ৬০ কেজির), যা বিশ্বের মোট উৎপাদিত কফির ৩৯%। বিশ্বের এক তৃতীয়াংশেরও অধিক কফি উৎপাদনের জন্য ব্রাজিলকে পৃথিবীর 'কফির পাত্র' বলা হয়।
No comments