Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

বন্দরের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য সহযোগিতা চাইলেন রাজ্যকে জাহাজ মন্ত্রী

হলদিয়া ও কলকাতা বন্দরের পরিকাঠামো উন্নয়নে রাজ্য সরকারের সহযোগিতা চাইলেন কেন্দ্রীয় জাহাজমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেওয়াল। শুক্রবার হলদিয়া বন্দর পরিদর্শনে এসে উত্তর-পূর্ব ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে নদীপথে এই বন্দর ব্যবহারের উপর গুরুত্…

 










হলদিয়া ও কলকাতা বন্দরের পরিকাঠামো উন্নয়নে রাজ্য সরকারের সহযোগিতা চাইলেন কেন্দ্রীয় জাহাজমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেওয়াল। শুক্রবার হলদিয়া বন্দর পরিদর্শনে এসে উত্তর-পূর্ব ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে নদীপথে এই বন্দর ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দেন তিনি। আসাম, ত্রিপুরা, মিজোরাম, অরুণাচল প্রদেশের কৃষি ও বাগিচাপণ্য এবং খনিজ বিদেশে রপ্তানির জন্য হলদিয়া বন্দরের আধুনিকীকরণের উপর জোর দেন তিনি। কেন্দ্রীয় জাহাজমন্ত্রী বলেন, বন্দরের উন্নয়নে আমরা রাজ্য সরকারকে পার্টনার হিসেবে চাইছি। রাজ্যের সঙ্গে হাতে হাত রেখেই এগতে চাই। সফলভাবে কোনও কর্মসূচি কার্যকরী করতে গেলে রাজ্য সরকারের সাহায্য ছাড়া কেন্দ্র এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না বলে স্পষ্ট জানান তিনি। তবে আগামী দিনে হলদিয়ার মতো মেজর পোর্টগুলি যে ধাপে ধাপে বেসরকারিকরণের পথে এগচ্ছে তার ইঙ্গিত দিয়েছেন জাহাজমন্ত্রী। 

এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ পঁচিশটি গাড়ির কনভয় নিয়ে হলদিয়ার টাউনশিপে বন্দরের পোর্ট হাউসে এসে পৌঁছন কেন্দ্রীয় জাহাজমন্ত্রী। সেখান থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে বন্দরের ডক এলাকা পরিদর্শনে যান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন হলদিয়ার বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডল। ডকের মধ্যে কন্টেনার টার্মিনালে মন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। সেখানে বন্দরের ডক এলাকায় নতুন কী ধরনের আধুনিকীকরণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তা প্রজেক্ট ম্যাপের মাধ্যমে বুঝিয়ে বলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পোর্ট ট্রাস্টের(কলকাতা-হলদিয়া বন্দর) চেয়ারম্যান বিনীত কুমার ও ডেপুটি চেয়ারম্যান অমলকুমার মেহেরা। এরপর একঘণ্টা ধরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ক্রুজ ভেসেল ‘রিভিয়েরা’তে চেপে ডকের বিভিন্ন বার্থের কাজকর্ম ও জাহাজে স্বয়ংক্রিয় কার্গো হ্যান্ডেলিং দেখেন জাহাজমন্ত্রী। পরে তিনি বন্দরের হুগলি নদীতে নির্মীয়মাণ আউটার টার্মিনাল-টু জেটি প্রকল্প ও পাতিখালিতে ৫০০কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মাল্টিমোডাল হাব ঘুরে দেখেন তিনি। 

এদিন জাহাজমন্ত্রীর সফরের মাঝপথে তাঁর সঙ্গী হন জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। বিকেলে দুই মন্ত্রী ৬কোটি টাকা খরচে তৈরি বন্দরের সোলার পার্কের উদ্বোধন করে। জাহাজমন্ত্রী বলেন, হলদিয়া বন্দরে বর্তমানে ৪৬.৫মিলিয়ন টন কার্গো ওঠানামা করে। দেশের একমাত্র নদীবন্দর হলদিয়া ও কলকাতায় নাব্যতা সমস্যা রয়েছে। এই সমস্যাকেই এবার সুযোগে রূপান্তরিত করতে হলদিয়াকে ব্যবহার করে নদীপথে বন্দর বাণিজ্যের প্রসার ঘটানোর চেষ্টা হচ্ছে। হলদিয়া সমুদ্র ও নদী দু’ধরনের সুবিধা পায়। এবার এর সঙ্গে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র দুই নদীর জাতীয় জলপথকে যুক্ত করা হচ্ছে। এর ফলে হলদিয়া ও কলকাতা বন্দরের পশ্চাদভূমি অর্থাৎ বাণিজ্য এলাকা আরও বেড়ে যাবে। উত্তরপূর্ব ভারতে নদীপথে বাণিজ্য বাড়লে পণ্য পরিবহণে খরচ কমবে।

তবে, বন্দরকে ঘিরে শ’য়ে শ’য়ে কোটি টাকার বিনিয়োগের স্বপ্ন দেখালেও নাব্যতা সমস্যায় জর্জরিত হলদিয়া চ্যানেলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে মুখ খোলেননি মন্ত্রী। তাছাড়া বন্দরে আধুনিকীকরণের ফলে যে সমস্ত মানুষ কাজ হারাবেন তাঁদের বিকল্প কর্মসংস্থান বা দক্ষতা বৃদ্ধি নিয়ে কোনও পরিকল্পনার কথা শোনা যায়নি। বন্দর বিশেষজ্ঞরা বলেন, নদীপথে বাণিজ্যের কথা গত পাঁচ-সাত বছর ধরে বলা হলেও আদপে পরীক্ষামূলক পণ্য পরিবহণ ছাড়া কিছুই হয়নি। এজন্য নদী ড্রেজিংয়ের কাজই শুরু হয়নি এখনও। এদিন জাহাজমন্ত্রীদের বন্দর পরিদর্শনকে ‘পুজোর আগে ভ্রমণ’ বলে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা।

No comments