চতুর্থীতেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় একাধিক জায়গায় পুজোর উদ্বোধন হল। শনিবার তমলুক শহরে রাজবাড়ি ময়দানে আদি তাম্রলিপ্ত সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজো উদ্বোধন করেন সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। তমলুক রাজবাড়ির পুজো এখন সর্বজনীন চেহারায় রাজব…
চতুর্থীতেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় একাধিক জায়গায় পুজোর উদ্বোধন হল। শনিবার তমলুক শহরে রাজবাড়ি ময়দানে আদি তাম্রলিপ্ত সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজো উদ্বোধন করেন সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। তমলুক রাজবাড়ির পুজো এখন সর্বজনীন চেহারায় রাজবাড়ি ময়দানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেই পুজোর উদ্বোধনে মন্ত্রী ছাড়াও জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি, পুলিস সুপার অমরনাথ কে এবং পুজো কমিটির প্রধান উদ্যোক্তা তথা পুরবোর্ডের চেয়ারপার্সন দীপেন্দ্রনারায়ণ রায় সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
সৌমেনবাবু কাঁথির সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডে সেন্ট্রাল দুর্গোৎসব সমিতির পুজো, মহিষাদলের মাইকো ক্লাব এবং শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের নোনাকুড়ি সাংস্কৃতিক সংস্থার পুজোর উদ্বোধন করেন। সুতাহাটার চৈতন্যপুরে নিউ স্টার ক্লাবের পুজো এদিন উদ্বোধন হয়। এছাড়াও শনিবার কাঁথির প্রত্যয়ী ক্লাব, এগরা ফ্রেন্ডস রিক্রিয়েশন এবং খেজুরি জরারনগর জাগৃতি ক্লাবের পুজোর উদ্বোধন হয়েছে। শুক্রবার রাতে কাঁথির নান্দনিক ক্লাবের পুজোর উদ্বোধন করেন অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী। পাঁশকুড়ার মেচগ্রামে সমাজশিক্ষা কেন্দ্রের আয়োজনে দুর্গাপুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। মন্ত্রী সৌমেনবাবু সহ বিশিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। এদিন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন পুজো উদ্বোধন শুরু হয়ে গেল। এদিন সবংয়ের তেমাথানিতে পুজোর উদ্বোধন করেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া।
শনিবার তমলুক শহরে সুবর্ণজয়ন্তী ভবনে জেলা পুলিসের উদ্যোগে পুজোর গাইড ম্যাপ উদ্বোধন হয়। জেলায় মোট ১১৩৩টি পুজো কমিটির কর্মকর্তার হাতে প্রতিটি থানা থেকে এদিন ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। গাইডম্যাপ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী, জেলাশাসক, পুলিস সুপার সহ বেশ কয়েকজন বিধায়ক এবং পুরসভার চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন। এদিন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ২০১১সাল থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে গোটা রাজ্যে পুজোর সময় গাইড ম্যাপ উদ্বোধন হয়। এই গাইড ম্যাপ মেনে চলার জন্য প্রত্যেককে বলা হয়। দু’বছর ধরে করোনা মহামারী আমাদের আনন্দ এবং উচ্ছ্বাসের ব্যাপ্তি কমিয়ে দিয়েছে। এই মুহূর্তে আমাদের কোভিডবিধি মেনে চলার উপর জোর দিতে হবে। পুজোয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দেওয়া হয়। করোনাবিধি মেনে চলার পাশাপাশি বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনহিতকর কাজকে যেমন বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিয়েছেন সেভাবেই এই উৎসবকেও বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দিয়েছেন।
এদিন জেলাশাসক বলেন, পুজোর প্রাক্কালে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। তাই আমাদের কোভিডবিধি মেনে চলতে হবে। পুজোর পর নভেম্বর মাস থেকে স্কুল, কলেজ খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। সেই উদ্যোগে যাতে নতুন সমস্যা না আসে সেদিকেও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
No comments