Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

কোভিড টিকা দেওয়া নিয়ে ঢাক না পিটিয়ে সকলের জন্য টিকার ব্যবস্থা করুন - মুখ্যমন্ত্রী

কোভিড টিকা দেওয়া নিয়ে শুধু ঢাক পেটানো হচ্ছে। মিথ্যা বলা হচ্ছে। তাই ঢাক না পিটিয়ে সকলের জন্য টিকার ব্যবস্থা করুন।’ রবিবার শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রচা…





কোভিড টিকা দেওয়া নিয়ে শুধু ঢাক পেটানো হচ্ছে। মিথ্যা বলা হচ্ছে। তাই ঢাক না পিটিয়ে সকলের জন্য টিকার ব্যবস্থা করুন।’ রবিবার শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রচার ঢক্কানিনাদকে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মনে করিয়ে দিলেন, ১০০ কোটি ডোজ মানেই প্রত্যেক দেশবাসীর টিকাকরণ সম্পূর্ণ নয়। অনেক পথচলা বাকি। আর শুধু করোনা ভ্যাকসিনই নয়, ত্রিপুরার বর্তমান পরিস্থিতি, সীমান্তে বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধি এবং পেট্রল-ডিজেল-রান্নার গ্যাসের আকাশছোঁয়া দাম নিয়েও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মমতা। 

বিজ্ঞাপন



১০০ কোটি ডোজের সাফল্যে দু’দিন হল শুরু হয়েছে বিজেপি তথা কেন্দ্রের প্রচার কর্মসূচি। দেশের নানা প্রান্তে ঢালাও অনুষ্ঠান। তারই প্রেক্ষিতে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মাত্র ২৯ কোটি মানুষ ডবল ডোজ পেয়েছেন। ওরা প্রচার করছে ১০০ কোটির। ডবল ডোজ সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত একশো শতাংশ হয়েছে বলা যায় না। ১৩০ কোটির দেশ। অনেকেই বাকি রয়েছেন। ওরা সত্য আড়াল করছে। পুরোটাই জুমলা। টিকার সার্টিফিকেটে মোদির ছবি। করোনায় মারা গেলে ডেথ সার্টিফিকেটেও ওই ছবি থাকবে তো?’ তিনি আরও বলেন, ‘কলকাতা বলুন বা শিলিগুড়ি—টিকায় বাংলাই ফার্স্ট। যারা থালা-ঘণ্টা বাজায়, ঢাক বাজায়, তাদের বলছি... আগে কাজটা করে দেখান। বাংলার ডাক্তার, নার্স থেকে আশাকর্মী—যেভাবে টিকা দিয়েছেন, অন্য কোথাও হয়নি। আমরা ১৪ কোটি টিকা চেয়েছিলাম, পেয়েছি ৭ কোটি। তার মধ্যে প্রায় সবার প্রথম ডোজ হয়ে গিয়েছে। আর ৪০ শতাংশ সেকেন্ড ডোজ। মহারাষ্ট্র বা উত্তরপ্রদেশকে টিকা দেওয়া নিয়ে আপত্তি নেই। কিন্তু বাংলাকে পর্যাপ্ত টিকা দেওয়া হবে না কেন? আমরা দ্রুত একশো শতাংশ করব।’

বিজ্ঞাপন



পাশাপাশি কোভ্যাকসিন নিয়েও সরব হয়েছেন মমতা। বলেছেন, ‘কোভ্যাকসিন এখনও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পায়নি। সেই টিকা নিয়ে অনেক ছাত্রছাত্রী, শিল্পপতি সহ বহু মানুষ বিদেশে যেতে পারছেন না। হু’কে দিয়ে কোভ্যাকসিন অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছি। যাতে দেশের ভাই-বোনেদের সমস্যায় পড়তে না হয়।’  

ত্রিপুরার নিরাপত্তা সঙ্কট নিয়েও সরব হন মমতা। সাফ বলেন, ‘এই রাজ্যে এত বড় দুর্গাপুজো হল। কোথাও অশান্তি হয়নি। বাংলাটা ত্রিপুরা নয়। বাংলার সংস্কৃতি আমরাই আগলে রাখব। ত্রিপুরায় সন্তোষমোহন দেবের মেয়েকে মারধর করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসা পর্যন্ত করতে দেওয়া হচ্ছে না। ওরা আবার মানবিকতার কথা বলে!’ মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ, ‘পেট্রল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের দাম বাড়িয়েই চলেছে। আমাদের আবার কয়লা, ঘুঁটে, গুলে রান্না করতে হবে। এ ব্যাপারে একটা কথাও নেই। মুখে লিউকোপ্লাস্ট দিয়ে রেখেছে। তাই উৎসব যেমন করব, তেমনই মানুষের জন্য প্রতিবাদও করব।’

বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধি নিয়েও কেন্দ্রকে একহাত নেন বাংলার অগ্নিকন্যা। তাঁর বক্তব্য, ‘কোনও এজেন্সির সমালোচনা করছি না। কিন্তু অশান্তিকে উস্কানি দেওয়া, বর্ডারে ঝামেলা বাঁধানোর জন্য কিছু রাজনৈতিক নেতা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন

No comments