পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শিল্প সংস্কৃতির শহর হলদিয়া। প্রায় ১৯৫২ সাল থেকেই শিল্পশহর হলদিয়া জমি অধিগ্রহণ কাজ শুরু হয়। ১৯৫৯ সাল ১লা নভেম্বর এ্যান্কারেজ এর মধ্য দিয়ে হলদিয়া বন্দরের গোড়াপত্তনের শুরু হয় ।পরবর্তীকালে হলদিয়া বন্দর …
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শিল্প সংস্কৃতির শহর হলদিয়া। প্রায় ১৯৫২ সাল থেকেই শিল্পশহর হলদিয়া জমি অধিগ্রহণ কাজ শুরু হয়। ১৯৫৯ সাল ১লা নভেম্বর এ্যান্কারেজ এর মধ্য দিয়ে হলদিয়া বন্দরের গোড়াপত্তনের শুরু হয় ।পরবর্তীকালে হলদিয়া বন্দর অনুসারী বিভিন্ন কারখানা গড়ে উঠেছে। হলদিয়া যত কারখানা হয়েছে বেশিরভাগই উদ্বাস্তু ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ বাদ দিয়ে অন্যত্র মানুষ কাজ পেয়েছেন। হলদিয়া মিৎসুবিশি কারখানা গেটের সামনে বিক্ষোভে সামিল হলেন ওই এলাকার উদ্বাস্তু ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ। দুই হাতের কাজ নয়, এক হাতের কাজের দাবিতে। প্রবল বৃষ্টি ও দু্র্যোগের মধ্যেই হলদিয়ার (মিতস্যুবিশি) কারখানার গেটে সকাল থেকে বিক্ষোভ অবস্থানে বসেছিল হলদিয়ার উদ্বাস্তু ক্ষতিগ্রস্ত ও জমিহারা পরিবারের লোকজন। তাঁদের অভিযোগ, কারখানা কর্তৃপক্ষ ভিন রাজ্যের লোকজনকে কাজ নিয়োগ করছে অথচ স্থানীয় জমিহারাদের কাজ দিচ্ছে না। এদিন সকাল থেকে জমিহারাদের বিক্ষোভের জেরে কারখানায় অচলাবস্থা তৈরি হয়। সকালের সিফ্টে আসা শ্রমিক কর্মচারীরা গেটে ঢুকতে বাধা পান। জমিহারা উদ্বাস্তু পরিবারের কয়েকশো মানুষ এদিন রেনকোট পরে, ছাতা নিয়ে গেট আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এলাকার মানুষ অবস্থানে রয়েছেন, বাধ্য হয়ে উপস্থিত হলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস আইএনটিটিইউসি সভাপতি তাপস কুমার মাইতি এবং হলদিয়া আইএনটিটিইউসি পর্যবেক্ষক সঞ্জয় ব্যানার্জি ও স্থানীয় কাউন্সিলর হলদিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলর স্বপন নস্কর। সঞ্জয়বাবু আজ তাপস বাবু কে সাথে নিয়ে বললেন এই এলাকার উদ্বাস্তু ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের আন্দোলন ছিল সঠিক। গত কয়েক বছর আগেই তৎকালীন যিনি দায়িত্বে ছিলেন নাম না করেই শুভেন্দুকে খোঁচা দিয়ে বললেন, অনৈতিকভাবে পিছনের দরজা দিয়ে লোক ননিয়োগ করেছিলেন সেই পদ্ধতি পরিবর্তন করা হয়েছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ পত্র পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিবেন। এই এলাকার উদ্বাস্তু ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ যোগ্যতা অনুসারে তারা কাজ পাবেন এবং আরও বললেন কোনভাবেই তোলাবাজ করা যাবেনা তোলাবাজ বন্ধ করার জন্যই মা মাটি মানুষের সরকারের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং যুবনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পথ অনুসরণ করে শিল্পশহর হলদিয়া এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শ্রমিক সংগঠন শ্রমিকদের নিয়ে চলবে।
No comments