Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

প্রত্যক্ষদর্শী দুই সাক্ষীকে বিচারকের নির্দেশ,ধৃত

কোর্টের নির্দেশে হলদিয়ায় মা ও মেয়ে খুনের ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী দুই সাক্ষী শেখ আসরফ আলি ও ইব্রাহিম আলি মল্লিককে গ্রেপ্তার করল হলদিয়ার দুর্গাচক থানার পুলিস। জেলা বিচারকের নির্দেশ অনুযায়ী দুই সাক্ষীকে গ্রেপ্তার করেই সোমবার তমলুক কোর্…

 






কোর্টের নির্দেশে হলদিয়ায় মা ও মেয়ে খুনের ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী দুই সাক্ষী শেখ আসরফ আলি ও ইব্রাহিম আলি মল্লিককে গ্রেপ্তার করল হলদিয়ার দুর্গাচক থানার পুলিস। জেলা বিচারকের নির্দেশ অনুযায়ী দুই সাক্ষীকে গ্রেপ্তার করেই সোমবার তমলুক কোর্টে তোলা হয়। এদিন ধৃত শেখ আসরফ আলির সাক্ষ্য নেওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া সামগ্রী এদিন কোর্টে হাজির করে পুলিস। প্রায় দু’-আড়াই ঘণ্টা ধরে সাক্ষ্যগ্রহণ এবং বাজেয়াপ্ত সামগ্রী নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলে। সোমবার ধৃত দু’জন সাক্ষীকেই ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেন জেলা ও দায়রা বিচারক গোপাল কর্মকার। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১০সেপ্টেম্বর। সেদিন তাদের কোর্টে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত ২সেপ্টেম্বর তমলুক জেলা ও দায়রা বিচারকের এজলাসে হলদিয়ায় মা মেয়ে খুনের মামলায় দু’জন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ছিল। সেইমতো আদালতে এসেছিলেন হলদিয়ার ঝিকুরখালির বাসিন্দা শেখ আসরফ আলি ও ইব্রাহিম আলি মল্লিক। কিন্তু, সাক্ষ্য না দিয়েই তাঁরা ফিরে যান। গোটা ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত। দু’জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে সোমবার সকাল ১০টায় কোর্টের হাজির করানোর জন্য জিআরওকে নির্দেশ দিয়েছিলেন জেলা বিচারক। সেইমতো দুর্গাচক থানার পুলিস দু’জনকে গ্রেপ্তার করে এদিন কোর্টে পাঠিয়ে দেয়।

জেলা ও দায়রা বিচারকের এজলাসেই সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এদিন আসরফের সাক্ষ্যগ্রহণ চলছিল। দীর্ঘক্ষণ ধরে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব হয়েছে। আবারও ১০ সেপ্টেম্বর তাঁর সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আসরাফ আলির সাক্ষ্য শেষ হওয়ার পর ইব্রাহিম আলির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে। ওই মামলায় চার্জশিট আগেই জমা পড়ে গিয়েছে। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শেখ সাদ্দাম হোসেন এবং তার সহযোগী মঞ্জুর আলম মল্লিক সহ মোট পাঁচজন ওই ঘটনায় জেলবন্দি। মোট ৩২জন ওই মামলার সাক্ষ্য দেবেন। তারপর রায় ঘোষণা করবে আদালত।

উল্লেখ্য, গত বছর ১৮ফেব্রুয়ারি হলদিয়ার ঝিকুরখালি এলাকায় হুগলি নদীর চরে নিউ বারাকপুরের বাসিন্দা রমা দে এবং তাঁর মেয়ে রিয়া দে’কে জ্যান্ত পুড়িয়ে খুন করা হয়। রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় ছিল শেখ সাদ্দাম। তার সঙ্গে রিয়ার বিয়ে হয়েছিল। মা-মেয়ের বিলাসবহুল জীবনের চাহিদা পূরণ করতে না পেরে সঙ্গীদের সাহায্য নিয়ে তাঁদের খুন করার অভিযোগ উঠে সাদ্দামের বিরুদ্ধে। দেহ উদ্ধার হলেও গোড়ার দিকে মৃতদের পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশায় ছিল পুলিস। খুনের বিষয়েও কোনও ক্লু পাচ্ছিল না। দেহ উদ্ধারের ঘটনার ছ’দিনের ব্যবধানে জেলা পুলিসের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম খুনের ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করে। পুলিস মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার করে। হলদিয়া কোর্টে মামলা শুরু হয়েছিল। কিন্তু, সেখানে আদালত চত্বরে বিক্ষোভ এবং ঝামেলার কারণে নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। যেকারণে হলদিয়া কোর্ট থেকে জেলা ও দায়রা বিচারক নিজ ক্ষমতাবলে ওই মামলাকে জেলা আদালতে সরিয়ে আনেন। তাঁর এজলাসেই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া চলছে। করোনা মহামারীর জেরে টানা কয়েক মাস ওই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া থমকে ছিল। ২সেপ্টেম্বর থেকেই ধারাবাহিকভাবে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। দুই গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। তারপর ধাপে ধাপে অন্যান্য সাক্ষীদের ডাকা হবে। দুর্গাচক থানার তৎকালীন ওসি বিপ্লব হালদার ওই মামলার তদন্তকারী অফিসার। মামলার সরকারি আইনজীবী সৌমেনকুমার দত্ত বলেন, এদিন দুই সাক্ষীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে আনা হয়। তাঁদের ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেন বিচারক। এদিন একজনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। কিন্তু, শেষ হয়নি। ১০তারিখ আবারও ডাকা হয়েছে।

No comments