Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের সঙ্গে একযোগে আন্দোলনে কোনও আপত্তি নেই বলে আবারও অবস্থান স্পষ্ট করলেন সিপিএম নেতা বিমান বসু

সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের সঙ্গে একযোগে আন্দোলনে কোনও আপত্তি নেই বলে আবারও অবস্থান স্পষ্ট করলেন সিপিএম নেতা বিমান বসু। বৃহস্পতিবার তমলুকে নিমতৌড়িতে সিপিএমের জেলা পার্টি অফিসে সুকুমার সেনগুপ্তের পূর্ণাবয়ব মূর্তি প্…

 




সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের সঙ্গে একযোগে আন্দোলনে কোনও আপত্তি নেই বলে আবারও অবস্থান স্পষ্ট করলেন সিপিএম নেতা বিমান বসু। বৃহস্পতিবার তমলুকে নিমতৌড়িতে সিপিএমের জেলা পার্টি অফিসে সুকুমার সেনগুপ্তের পূর্ণাবয়ব মূর্তি প্রতিষ্ঠা ও স্মারক বক্তৃতায় যোগ দিয়ে আগের অবস্থান স্পষ্ট করলেন বিমানবাবু। তিনি বলেন, দেশটা অনেক বড়। এখানে বিজেপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন দল একজোট হয়ে লড়াই সংগ্রাম করলে আমরা তার সঙ্গে থাকব। সেই লড়াইয়ে তৃণমূল কংগ্রেস থাকলে সিপিএমের অবস্থান কী হবে? এই প্রশ্নে বিমানবাবু বলেন, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে অসংখ্য পার্টি থাকবে। তারমাঝে তৃণমূল থাকলে আমাদের গায়ে ফোস্কা পড়বে না। 


এদিনের কর্মসূচিতে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন,  যাঁরা ভগবানকে বিশ্বাস করেন, তাঁরা যেমন তীর্যযাত্রা করেন, তেমনই সংগ্রামীদের পুণ্যভূমি হল মেদিনীপুর। এখানে না এলে সংগ্রামীজীবন পূর্ণ হয় না। এই মাটিতেই ক্ষুদিরাম বসু থেকে মাতঙ্গিনী হাজরার জন্ম হয়েছে। অথচ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মাতঙ্গিনী হাজরাকে অসমের বলে ইতিহাসকে বিকৃত করেছেন। তিনি ইতিহাস জানেন না। স্বাধীনতার ইতিহাসও তিনি জানেন না। ওদের সংগঠনের কেউ স্বাধীনতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না।

তিনি আরও বলেন, তমলুকের মাটিতেই সতীশ সামন্ত ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে গোটা দেশে নজির গড়ে তুলেছিলেন। সেই মাটিতেই জন্মেছিলেন সুকুমার সেনগুপ্ত। সেই আন্দোলনের ধারাকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন সুকুমারবাবু। তিনি স্বাধীনতার পাশাপাশি মানুষের জন্য দেশের মধ্যে বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। পরবর্তী প্রজন্মকে লড়াইয়ের পথ দেখিয়েছিলেন। সুকুমার সেনগুপ্ত একজন মস্তবড় স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। 

এদিন ত্রিপুরা প্রসঙ্গে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ত্রিপুরায় বিজেপি আমাদের লোকজনের উপর লাগামহীন সন্ত্রাস চালাচ্ছে। আমাদের পার্টি সেখানে রুখে দাঁড়িয়েছে। আগামী বিধানসভা ভোটে ত্রিপুরা থেকে বিজেপি সরকারের বিদায় হবে। সেখানে আমরাই সরকার গড়ব। তিনি বলেন, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে আক্রমণ নেমে আসছে। সাংবাদিকও তার থেকে বাদ পড়ছেন না। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর লড়াই শুরু হয়েছে। ২০২৪সালেই এই সরকার বিদায় নেবে। এদিনের কর্মসূচিতে বিমান বসু, রবিন দেব, জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি প্রমুখ ছিলেন। বৃষ্টি উপেক্ষা করেও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলা থেকেও পার্টির নেতারা এদিনের কর্মসূচিতে যোগ দেন। -নিজস্ব চিত্র

No comments