Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

জল বাড়ছে, আতঙ্ক বাড়ছে জলবন্দি মানুষদের

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কেলেঘাই, বাঘুই,কপালেশ্বরী, কাঁসাই,চন্ডিয়া,রসুলপুর, রূপনারায়ণ,হলদী নদী সমূহের পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরের জলস্ফীতি অব্যাহত।পাশাপাশি সুবর্ণরেখা নদীর উপচে পড়া জল গোদের উপর বিষফোঁড়া র মত জেলার বন্যা পরিস্থিতি কে জটিল …

 






পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কেলেঘাই, বাঘুই,কপালেশ্বরী, কাঁসাই,চন্ডিয়া,রসুলপুর, রূপনারায়ণ,হলদী নদী সমূহের পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরের জলস্ফীতি অব্যাহত।পাশাপাশি সুবর্ণরেখা নদীর উপচে পড়া জল গোদের উপর বিষফোঁড়া র মত জেলার বন্যা পরিস্থিতি কে জটিল করে তুলেছে। উপর্যুপরি নিম্নচাপের ফলশ্রুতিতে অতিবৃষ্টির কারণে জলের তোড় ক্রমবর্ধমান। জমাজল নিষ্কাশনের পরিবর্তে নদী,খাল-বিলের জল উপচে পড়ছে। পটাশপুর-১ ও ২,ভগবানপুর-১ ও ২,চন্ডীপুর, এগরা-২, কাঁথি-৩( একাংশ), ময়না,পাঁশকুড়া, কোলাঘাট (একাংশ), রামনগর-১(অাংশিক),এগরা-২(অাংশিক), দেশপ্রাণ(অাংশিক) প্রভৃতি ব্লকের প্লাবিত এলাকার পরিধি ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ভগবানপুর-১ ব্লকের কাজলাগড় বেরিয়ে বাণের জল বাজকুল রেলস্টেশন মুখী।ভগবানপুর-২ ব্লকের জল পাউসী ছাড়িয়ে কাঁথি-৩ ব্লকের ভাজাচাউলি,কুমিরদা অঞ্চল ছাড়িয়ে ভাইটগড় পর্যন্ত এগিয়ে অাসছে।এগরা-২ ব্লকের দেশবন্ধু অঞ্চল পেরিয়ে জলরাশি বালিঘাই মুখী।নীচু জায়গায় বাণের জল ঢুকে পড়ার পর বেরিয়ে যাওয়ার পথ নেই। সবই জলাশয়ের রূপ পেয়েছে। ঘরবাড়ি,চাষবাস, মাছের চাষ,রাস্তাঘাট জলের তলায়। পানীয়জলের সঙ্কট চরমে উঠেছে। সমস্ত গভীর নলকূপ জলে ডুবে অাছে। নাকের জল,চোখের জল,বৃষ্টি র জল অার নদীর জল মিলেমিশে একাকার। রান্না করার সরঞ্জাম জলে ডুবে অাছে। শুকনো খাবারের চাহিদা সব থেকে বেশী।চিড়া,মুড়ি,বিস্কুট, পাউরুটীর কালোবাজারি তুঙ্গে। অালু,পেঁয়াজ,  মশলাপাতি ও ভোজ্য তেলের দাম অসাধু ব্যবসায়ীরা  কৃত্রিম ভাবে বাড়িয়ে তুলতে সচেষ্ট। যোগাযোগের জন্য নৌকা ও স্পীড বোটের সংখ্যা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হচ্ছে। অাজ সকাল থেকে মুগবেড়িয়া অঞ্চলের দক্ষিণ বায়েন্দা,ভগবানপুর-১ ব্লকের কাজলাগড় অঞ্চলের বহলিয়া,হিঞ্চাগেড়িয়া,সরবেড়িয়া প্রভৃতি মৌজা প্লাবিত হয়েছে।প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন কাঁথি -৩ ও দেশপ্রাণ ব্লকের বিভিন্ন জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন জানান জমা জলের দূষণের কারণে অান্ত্রিক ও অন্যান্য মহামারী রোগের প্রকোপের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। পানীয়জলের অভাবে দূষণযুক্ত জলপান করতে মানুষ বাধ্য হচ্ছেন। পানীয়জলের পাউচ সরবরাহ, শুকনো খাবারের যোগান ও কালোবাজারি রোধ করা অাশু জরুরী বলে অভিমত প্রকাশ করেন প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন। অামফান ও যশের থেকেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েকগুণ। অবিলম্বে বন্যা কবলিত এলাকা ঘোষণা করে পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী বরাদ্দের জন্য জেলার দুই মন্ত্রী অখিল গিরি ও ডঃ সৌমেন মহাপাত্র কে অাবেদন জানিয়েছেন প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন।

No comments