Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

লাগাতার বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন বেশকয়েকটি গ্রাম বহু মূল্যের পান চাষ বৃষ্টির জলে নষ্ট মাথায় হাত চাষিদের

লাগাতার বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন বেশকয়েকটি গ্রাম। তাঁর সাথে চারিধারে মাছের ভেড়ি পুকুরডোবা ডুবেছে ,জল থই থই গ্রাম।যাঁর ফলে কালিবাংলা পান চাষ কার্যত জলের তলায়। নষ্ট বহু মূল্যের কালিবাংলা পানপাতা। তবু শেষ বাঁচানোর লড়াই পানচাষিদের। কে…

 





লাগাতার বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন বেশকয়েকটি গ্রাম। তাঁর সাথে চারিধারে মাছের ভেড়ি পুকুরডোবা ডুবেছে ,জল থই থই গ্রাম।যাঁর ফলে কালিবাংলা পান চাষ কার্যত জলের তলায়। নষ্ট বহু মূল্যের কালিবাংলা পানপাতা। তবু শেষ বাঁচানোর লড়াই পানচাষিদের। কেউ লোন নিয়ে কেউ বা জমানো টাকায় সশরীরে মেহনত করে পানের বোরজ বানিয়েছিলেন। তরতাজা সবুজ সতেজ পানপাতাও বোরজ জুড়ে হয়েছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু টানা অবিশ্রান্ত বৃষ্টি তছনছ করেছে পানগাছকে। নষ্ট করেছে বোরজের সমস্ত পান। কারন আর হবে না বিক্রি, জল লেগে সব শেষ। পচতে শুরু করেছে পান। 

পান বোরজের মধ্যে জল দাঁড়িয়ে রয়েছে প্রায় হাঁটু সমান। যাঁর ফলে বোরজের মধ্যে গাছেই নষ্ট পান। চাষিদের মাথায় হাত, চোখে জল। খাবে কি তাঁরা, যাবে কোথায়!  কারন এই পান চাষই একমাত্র সম্বল পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার ব্লকের কুমরচক অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামের মানুষের। বিশেষত ভাবে এই জেলায় কালিবাংলা পানের বাজার দর বেশি থাকে, কিন্তু লাগাতার ভারী বৃষ্টির ফলে কার্যত জলের তলায় পান বোরজ, নষ্ট বহু মূল্যের পানপাতা। 

বিশেষত নন্দকুমার ব্লকের কুমরচক, রাজারামপুর, শিবদত্তপুর সহ একাধিক এলাকা পান চাষের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু গাছ যখন নষ্ট তখন দেনার দায়ে ডুবল চাষিরা। চাষিদের মতে পান চাষের পেছনে কেউ কেউ এক লক্ষ টাকা খরচ করে পান বোরজ তৈরি করেছেন। যেখানে পান বিক্রির ওপর লাভ হিসেবে দাঁড়ায় কয়েক লক্ষ টাকা। কিন্তু সব লাভের টাকা জলে! অর্থাত বৃষ্টির জমা জলে চাষ যেখানে নষ্ট,সেখানে বিক্রির প্রশ্নই ওঠে না । শিবদত্তপুরের পান চাষি অমলেন্দু মান্না বলেন পান বোরজের পেছনে বহু টাকা খরচ করেছি, পানগাছও খুব সুন্দর হয়েছিল, কিন্তু টানা বৃষ্টির জল দাঁড়িয়ে সবকিছু নষ্ট করেছে, পানপাতা ফেলে দেওয়া ছাড়া কোনো গতি নেই। রাজ্য সরকার থেকে কিছুটা সহযোগীতা পেলে উপকৃত হতাম।  রাজরামপুরের বাসিন্দা লক্ষ্মীকান্ত সাঁতরা চোখে জল নিয়ে বলেন রাতদিন খেটে কষ্ট করে পান চাষ করেছি, সব শেষ হয়ে গিয়েছে। একটা বোরজ বাঁচাতে পারিনি, পানচাষের ওপর আমাদের নির্ভর করে থাকতে হয়। খাব কি আমরা কিছুই খুঁজে পাচ্ছি না। আমাদের আত্মহত্যা ছাড়া কোনো উপায় নেই। 

তবে এ বিষয়ে স্থানীয় গ্রাম প্রধান শুধাংশু শেখর সামন্ত বলেন কুমরচক অঞ্চলের ১৬ টি বুথের মানুষই পান চাষের ওপর নির্ভরশীল। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে প্রায়ই সকল পান চাষ নষ্ট হয়েছে। তাই পানচাষিদের ক্ষতির পরিমাণ আমরা পঞ্চায়েত সমিতি ও বিডিওর কাছে পাঠিয়েছি যাতে একটা সহযোগীতা পাওয়া যায় চাষিদের জন্য। না হলে আগামীদিনে পানচাষিদের দুর্দশার সীমা থাকবে না। 

তবে নন্দকুমার ব্লকের পান চাষিরা চাতক পাখির মতো তাকিয়ে রয়েছে রাজ্য সরকারের অনুদানের দিকে। যদি কিছুটা ক্ষতিপূরণ  পায়, তাতে হয়তো পুরোটা না হলেও কিছুটা লাঘব হবে তাঁদের।

No comments