এবার জমি-বাড়ি মিউটেশনের সরলীকরণের পরিকল্পনা নিয়েছে নবান্ন। জমি-বাড়ির মিউটেশন নিয়ে জটিলতা কাটাতেই এই উদ্যোগ নবান্নের। যাঁরা জমির মিউটেশন করবেন, তাঁদের যাতে অহেতুক জটিলতার মুখোমুখি হতে না-হয় সেটাই দেখা হবে। বিএলআরও অফিসে গিয়ে …
এবার জমি-বাড়ি মিউটেশনের সরলীকরণের পরিকল্পনা নিয়েছে নবান্ন। জমি-বাড়ির মিউটেশন নিয়ে জটিলতা কাটাতেই এই উদ্যোগ নবান্নের। যাঁরা জমির মিউটেশন করবেন, তাঁদের যাতে অহেতুক জটিলতার মুখোমুখি হতে না-হয় সেটাই দেখা হবে। বিএলআরও অফিসে গিয়ে সবার হত্যে দেওয়ার পরিচিত দৃশ্যটাই উধাও হয়ে যাবে। সোজা কথায়, ভূমিদপ্তরের এই উদ্যোগে মিউটেশন নিয়ে মানুষের সমস্ত হয়রানি বন্ধ হবে এবার।
জটিলতা কাটানোর জন্য ভূমিদপ্তরের সিদ্ধান্তগুলো হল, একজন ব্যক্তির যদি জমি সংক্রান্ত একাধিক সমস্যা থাকে তাহলে একদিন এসে সেই সমস্যা শুনানি করে মিটিয়ে দিতে হবে, কোনও ব্যক্তিকে ভূমিদপ্তরের বারবার ডেকে হয়রানি করা যাবে না। ল্যান্ড সিলিংয়ের কারণে অনেকে বিভিন্ন ব্যক্তি বা সংস্থার নামে জমি কেনেন, সেইসব ব্যক্তি বা সংস্থার কর্তাকে তাই মিউটেশনের ক্ষেত্রে বারবার না ডেকে একবার ডেকে বা শুনানি করে একটি আবেদনের মাধ্যমে ফয়সালা করার সিদ্ধান্ত নিল ভূমিদপ্তর। অনেকেই স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে বা পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে জমি কেনেন, সেসব ক্ষেত্রেই একজনকে একবারের জন্য শুনানিতে ডাকা হবে। এক্ষেত্রে দেখা হবে, একই ঠিকানায় জমি কেনা হয়েছে কি না। তার ফলে রিলিফ পাবেন জমির মালিকরা।
সাধারণত জমি সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে হয়রানির মুখে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বারবার ঘুরতে হয় অথচ সমাধান হয় না, এসব আর বরদাস্ত করবে না নবান্ন। এ ব্যাপারে পরিষ্কার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সম্প্রতি তিনি ভূমিদপ্তরের প্রধান সচিব স্মারকী মহাপাত্র সহ সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের নিয়ে একটি বৈঠক করে সেই নির্দেশ দিয়েছেন। যা নিচুতলা পর্যন্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ব্লক ভূমি আধিকারিক বা বিএলআরও অফিস ভালোমতো সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। গোটা প্রক্রিয়াটা অনলাইনে করার চেষ্টা চলছে।
মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিভান্স সেলে সবথেকে বেশি অভিযোগ এসেছে জমি নিয়ে। জমি সংক্রান্ত সবধরনের জটিলতার সরলীকরণ চাইছে নবান্ন। এজন্য ভূমিদপ্তরের পক্ষ থেকে জমির মালিকদের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে, অনলাইনে যে-সমস্ত মিউটেশনের আবেদন করা হচ্ছে, সেখানে আবেদনকারীর ব্যক্তিগত ফোন নম্বর দিতে হবে। সাধারণত অনেকে আইনজীবী বা মুহুরির ফোন নম্বর দেন, এর ফলে ভূমিদপ্তর সরাসরি জমির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না। নিজের মোবাইল নম্বর দিলে ভূমিদপ্তর সরাসরি এসএমএসের মাধ্যমে তাঁদেরকে শুনানিতে ডাকতে পারে। শুনানিতে হাজির হয়েই যেকোনও সমস্যার সমাধান পেতে পারেন নাগরিকরা। নবান্নের এক শীর্ষ আধিকারিক মনে করেন, এতে দুটো লাভ হবে: (১) মধ্যবর্তী কেউ জমির মালিকের কাছ থেকে ঘুষ নিতে পারবে না। (২) ভূমিদপ্তর জমি সংক্রান্ত সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে পারবে।
No comments