বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কবিতা ও আবৃত্তি উৎসব কমিটি কে সংবর্ধনা দিল আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ সহকারি হাইকমিশন

সৈয়দ খায়রুল আলম, বাংলাদেশ ঃভারতের ত্রিপুরার মনের ক্যানভাস ও এক্সসিলেন্ট প্রিন্টিং প্রেসের যৌথ আয়োজনে প্রায় একমাস ব্যাপী বঙ্গবন্ধু কবিতা ও আবৃত্তি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল গত জুলাই দু’হাজার একুশে। এই আয়োজনে বাংলাদেশ এবং ভারতের…

 

সৈয়দ খায়রুল আলম, বাংলাদেশ ঃভারতের ত্রিপুরার মনের ক্যানভাস ও এক্সসিলেন্ট প্রিন্টিং প্রেসের যৌথ আয়োজনে প্রায় একমাস ব্যাপী বঙ্গবন্ধু কবিতা ও আবৃত্তি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল গত জুলাই দু’হাজার একুশে। এই আয়োজনে বাংলাদেশ এবং ভারতের প্রায় দুই শতাধিক নবীন, প্রবীণ ও আমন্ত্রিত কবি, আবৃত্তিশিল্পী ও বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীরা অংশ নিয়েছেন। অনুষ্ঠানের উপদেষ্টা বাংলাদেশের প্রখ্যাত আবৃত্তিশিল্পী তথা সাংস্কৃতিক সংগঠক কাজী মাহতাব সুমন।

সমগ্র অনুষ্ঠান ভাবনা ও নির্দেশনায় ছিলেন ভারতের ত্রিপুরার বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব তথা মনের ক্যানভাসের নির্দেশক অমিত ভৌমিক, অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ভারতের ত্রিপুরার এক্সসিলেন্ট প্রিন্টিং প্রেসের কর্ণধার প্রণব দেবনাথ, অনুষ্ঠান সম্পাদনায় রয়েছেন মনের ক্যানভাস এর পরিচালক সন্তোষ পাল। ১ সেপ্টেম্বর ২০২১ বাংলাদেশ সহকারি হাই কমিশন কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে সহকারী হাই কমিশনার মোঃ জোবায়েদ হোসেন উদ্যোক্তাদের হাতে সম্মাননা পত্র তুলে দেন সেইসঙ্গে আগামী দিনে এ ধরনের কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে উদ্যোক্তাদের আহ্বান জানান। তিনি আশা পোষণ করেন এ ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে। করোনা আবহে এ ধরনের অনলাইন আয়োজনে বাংলাদেশের জাতির পিতা তথা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষে এ ধরনের উদ্যোগ অবশ্যই অভিনন্দন যোগ্য।

অনুষ্ঠানে সরকারি হাইকমিশনের প্রথম সচিব মোহাম্মদ রেজাউল হক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

আগরতলার আবিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আন্তর্জাতিক কবিতা ও আবৃত্তি উৎসব অনুষ্ঠান আয়োজন করায এবং বাংলাদেশের নড়াইল জেলার বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের আংশগ্রহনের সুযোগ করে দেয়ার জন্য ত্রিপুরার বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আমিত ভৌমিক কে ২বাংলারনিউজ এর সম্পাদক সৈয়দ খায়রুল আলম এর পক্ষথেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন বলেন,নড়াইল জেলা সাহিত্য সাংস্কৃতিক অঙ্গনের উর্বর ভুমি এই জেলার কৃষ্টি ও সাংস্কৃতি তুলে ধরার জন্য যে সুযোগ পেয়েছি সেটা কাজে লাগাতে পেরে সত্যিই আনন্দিত। তাই এই চমৎকার আয়োজনের জন্য আগরতলার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সংগঠকের সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এ ছাড়া যারা সুন্দর ভাবে সফল করেছেন তাদেরকে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার এর পক্ষথেকে সংবর্ধনা দেওয়া জন্য সহকারী হাইকমিশনার জোবায়েদ হোসেন সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি আশাকরি দুই দেশের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি আন্তর্জাতিক ভাবে সমৃদ্ধ হবে।