সমাজে নারীরা যে কোনও অংশেই পিছিয়ে নেই তা তুলে ধরতে মহিলা পুরোহিত দিয়ে মেয়ে বিবাহ দিলেন মহিষাদলের সুজাতাদেবী।সমাজে নারীরা যে কোনও অংশেই পিছিয়ে নেই, নারীরাও পুরুষদের সাথে সমান তালে সব কাজ করতে পারে এই বার্তা দিতেই পুরোহিতের কাজে না…
সমাজে নারীরা যে কোনও অংশেই পিছিয়ে নেই তা তুলে ধরতে মহিলা পুরোহিত দিয়ে মেয়ে বিবাহ দিলেন মহিষাদলের সুজাতাদেবী।সমাজে নারীরা যে কোনও অংশেই পিছিয়ে নেই, নারীরাও পুরুষদের সাথে সমান তালে সব কাজ করতে পারে এই বার্তা দিতেই পুরোহিতের কাজে নারীরা। পূজা অর্চনার পাশাপাশি এবার হিন্দু রীতিমতে বিবাহের কাজও পারদর্শীতার সাথে সম্পন্ন করতে এগিয়ে এলেন নন্দিনী ভৌমিক ও তার দল । মঙ্গলবার রাতে মহিষাদলের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের বাসিন্দা সুজাতা হালদার তার একমাত্র কন্যা দেবাহুতী হালদারের বিবাহ কার্য করলেন মহিলা পুরোহিতরা । মহিলা পুরোহিত দিয়ে কনের বিয়ে দেওয়ার ঘটনাকে ঘিরে ব্যপক উৎসাহ উদ্দিপনার দেখা দেয় মহিষাদলের প্রঞ্জানানন্দ ভবনের বিবাহ অনুষ্ঠান প্রাঙ্গনে। বিবাহ অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিত থেকে অতিথি অভ্যাগত এবং পরিবারের মহিলারা গর্বিত একজন মহিলার এই পুরোহিত পেশায় যুক্ত হওয়ায়। সমাজের কোনও কাজেই যে মহিলারা আজ আর পিছিয়ে নেই এটা অনুভব করতে পেরেই গর্বিত তাঁরা।বৈদিক গ্রন্থে কিছু নারী ঋষি বা মুনির কথা উল্লেখ আছে। একজন নারী ঋষি হওয়ার অর্থ তিনি বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ করে সমস্ত দেবদেবী পূজা আর্চা ও যাগযজ্ঞ করতেন। কিন্তু মধ্যযুগীয় পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীদের সেই মান মর্যাদাকে দমিয়ে রেখে সমাজের বহু জায়গা থেকে তাদের পেছনে ফেলে রাখা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান আধুনিক সভ্যতার যুগে নারীরা শক্তিতে বলীয়ান হওয়ার পাশাপাশি সমাজের সর্বস্তরে পুরুষদের সাথে সমান তালে তাল মিলিয়ে চলছে এযুগের নারী। এতদিন পুজো পাঠ যাগযজ্ঞ বিবাহ অন্নপ্রাশনের মতো সামাজিক মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতেন পুরোহিতেরা। যাঁরা হলেন পুরুষ। এখন থেকে সেই ধ্যান ধারণা পালটে দিয়ে সমাজের মহিলারাও এগিয়ে এসেছেন পুরোহিতের কাজে। পূজো পাঠ যাগযজ্ঞের পাশাপাশি এবার বিবাহ কার্যও সম্পন্ন করছেন মহিলা পুরোহিতেরা।
No comments