ছোট্ট একটি শব্দ ঘুড়ি,ফিরিয়ে দেয় বাল্যও কৈশরের উন্মুক্ত আনন্দকে।সব আনন্দকে টপকে দিয়ে ঘুড়ি ওড়ানোর আনন্দ ;মাথার উপর নির্মল অনন্ত আকাশ-সদ্য ধান কাটা বিস্তীর্ণ-ঝলমলে মিঠে রোদ্দুর-হেমন্তের উত্তরে বাতাস।এ যেন ঘুড়ি ওড়ানোর এক উন্মুক্ত …
ছোট্ট একটি শব্দ ঘুড়ি,
ফিরিয়ে দেয় বাল্যও কৈশরের উন্মুক্ত আনন্দকে।
সব আনন্দকে টপকে দিয়ে ঘুড়ি ওড়ানোর আনন্দ ;
মাথার উপর নির্মল অনন্ত আকাশ-
সদ্য ধান কাটা বিস্তীর্ণ-
ঝলমলে মিঠে রোদ্দুর-
হেমন্তের উত্তরে বাতাস।
এ যেন ঘুড়ি ওড়ানোর এক উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ।
খালি পা,দড়ি বাঁধা প্যান্ট,ঘুড়ি-লাটাই হাতে-
ছুটছি মাঠের পর মাঠ।
লক্ষ্য একটাই,আকাশে উড়িয়ে দেব ঘুড়িকে।
নীল আকাশের বুকে-
ঘুড়িকে পাখীর চোখ করে,
পিছন দিকে পা ফেলছি জোরে হাঁটতে গিয়ে-
হোঁচট খাচছি বারংবার পড়েও যাচ্ছি।
আকাশে ভাসতে থাকা কাটা ঘুড়ির মতোই-
দূরন্ত দৌড় দিচ্ছি ক্ষিপ্ত বালকের মতো।
সব পেরিয়ে-
বনঘাঁটির বিশাল বড় লাঠি ছিল ঘুড়ি লুটের অস্ত্র।
ঠিক যেন ঘুড়ি লুটের যুদ্ধ, যুদ্ধই বটে-
হাত-পা দিয়ে রক্ত ঝরছে,
প্রলেপ পড়ছে বনঘাঁটির রস,
সবেতেই বনঘাঁটি-
ঘুড়ি লুটতে,ঘুড়ি খুঁজতে, ক্ষত নিরাময় করতে,
বনঘাঁটি আমার পরম বন্ধু।
অনিদ্রায় কত রাত কাটিয়েছি-
ঘুড়ি লাটাই-এর আকর্ষণে।
পয়সা ছিল না কেনার,
এক ফুট লম্বা কঞ্চি আমার লাটাই,
আর পরিবেশ বান্ধব রঙিন কাগজ ছিল ঘুড়ি।
লাট্টু শতরঞ্জি পায়রাখুপি মোমবাতি-
কত রকমারি ঘুড়ি।
বিস্তর গবেষণা চলত-
ঘুড়ির সুতো কাটার মাঞ্জা তৈরী করতে।
ঘুড়ির সান্নিধ্য ছাড়া জীবনটাই যে ভো-কাট্টা।
ঘুড়ি-মহিমার মহিমান্বিত রসদ-
জীবন সায়াহ্নেও রয়ে গেল আমার অন্তস্থলে।
No comments