নামি মোবাইল কোম্পানির টাওয়ার বসিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা রোজগার করতে চান? এক টুকরো জমি থাকলেই হবে। সেই জমিতে বসানো হবে টাওয়ার, যার ভাড়া বাবদ জমির মালিক পর্যাপ্ত টাকা পাবেন মাসে মাসে। সঙ্গে সেই মোবাইল কোম্পানিতে একজনের নিশ্চিত চাকরি।ত…
নামি মোবাইল কোম্পানির টাওয়ার বসিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা রোজগার করতে চান? এক টুকরো জমি থাকলেই হবে। সেই জমিতে বসানো হবে টাওয়ার, যার ভাড়া বাবদ জমির মালিক পর্যাপ্ত টাকা পাবেন মাসে মাসে। সঙ্গে সেই মোবাইল কোম্পানিতে একজনের নিশ্চিত চাকরি।
তবে এর মাঝে একটা ছোট্ট 'কিন্তু' আছে | টাওয়ার বসানোর আগে জমির মালিককে দিতে হবে প্রসেসিং ফি এবং GST বাবদ বেশ কিছু টাকা।
নিখুঁত Modus Operandi। বড় কোম্পানির নাম শুনে শুরুতে টাকা দিতে বিশেষ আপত্তি করেন না কেউই | তার উপর মাসিক ভাড়া বাবদ টাকা এবং চাকরির লোভনীয় টোপ। এই দেখিয়ে বহু মানুষের সঙ্গে প্রতারণা, এবং হাতিয়ে নেওয়া লক্ষ লক্ষ টাকা। এমনই তিনটি ভুয়ো কলসেন্টারের পর্দাফাঁস হল বাগুইআটি থানা এলাকায় দিনদুয়েক আগে। সৌজন্যে, বিধাননগর সাইবার থানা ।
প্রথম অভিযান বাগুইআটি থানার প্রফুল্লকানন এলাকার একটি বিল্ডিংয়ে। যেখানে প্রায় ১৫ জন পুরুষ এবং ১০ জন মহিলা বেশ কিছু কম্পিউটার এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক সামগ্রী ব্যবহার করে ব্যস্তসমস্ত ভঙ্গিতে ফোনালাপ চালাচ্ছিলেন। সোজা বাংলায়, কল সেন্টার।
সে না হয় হল, কিন্তু বৈধ কাগজপত্র? সেসবের কোনও বালাই নেই। ভুয়ো সেন্টার, ভুয়ো ব্যবসা। গ্রেফতার করা হল অঙ্কিত কুমার সিং এবং সৌরভ দাস নামে দু'জন এবং প্রীতি সিংহ নামে এক মহিলাকে। এরাই মূল চক্রী। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হল পাঁচটি মোবাইল ফোন, নয়টি টেলিফোন রিসিভার এবং অন্যান্য যন্ত্রাংশ।
এরপরে প্রফুল্লকানন এলাকারই আরও দুটি বিল্ডিংয়ে হানা। দুই জায়গায়ই মোটামুটি সেই একই গল্প। ভুয়ো কলসেন্টার খুলে লোক ঠকানোর ব্যবসা। প্রথম বাড়িটি থেকে গ্রেফতার পাঁচ - নাম গণেশ গুপ্ত, অনুপ দাস, হিতেশ সাউ, জয়দীপ অধিকারী এবং লক্ষজ্যোতি হাজরিকা | দ্বিতীয়টি থেকে গ্রেফতার চার জন - নাম ইলিয়াস মিয়া, রাজীব গোগোই, মানস গোগোই এবং মোস্তফা কামাল তালুকদার। উদ্ধার মোট ৩৬টি মোবাইল সহ একাধিক ল্যাপটপ, ATM কার্ড এবং আরও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি।
সিল করে দেয়া হয়েছে তিনটি ভুয়ো কল সেন্টারই।দোষীদের শাস্তি সুনিশ্চিত করতে চেষ্টার ত্রুটি রাখব না আমরা। দ্রুত তদন্ত শেষ করে জমা পড়বে চার্জশিট।
No comments