হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালসের অগ্নিকাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই আবার শিল্প তালুকের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলো। এবারে ঘটনাস্থল হলদিয়ার কসবেড়িয়াতে ইন্ডিয়ান ওয়েল পেট্রোনাস প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থাতে । এই সংস্থা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা তরফ…
হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালসের অগ্নিকাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই আবার শিল্প তালুকের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলো। এবারে ঘটনাস্থল হলদিয়ার কসবেড়িয়াতে ইন্ডিয়ান ওয়েল পেট্রোনাস প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থাতে । এই সংস্থা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা তরফে গার্হস্থ ও বাণিজ্যিক সিলিন্ডারে গ্যাস ভর্তি করে।
কারখানা সূত্রের খবর, রাত্রি দশটার সময় সমস্ত চিমনির আগুন চিমনি নিচে চলে আসে। তিনি সংলগ্ন এলাকা তে দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে আগুন। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্যাস সিলিন্ডার নিতে আসা লরির চালক খালাসী সহ কারখানা কর্মীদের একাংশ। প্রায় ১৫ মিনিটে চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
সূত্রে খবর, সিলিন্ডারে গ্যাস ভর্তি করার পরে অতিরিক্ত কিছু গ্যাস পাইপের মাধ্যমে চিমনিতে পাঠানো হয়। চিমনিতে ওই গ্যাস কে জ্বালিয়ে বাতাসে ছেড়ে দেওয়া হয়। চিমনি সংলগ্ন এলাকাতে পাইপলাইনে মেরামতের কাজ চলছিল।অসতর্কতা বসত পাইপলাইনে গ্যাসের মধ্যে কিছুটা দাহ্য তরল পদার্থ চিমনির মধ্যে পৌঁছে যায়। সে সময় তরল পদার্থ চিমনিতে পৌঁছে যায় সঙ্গে সঙ্গে আগুনের স্ফুলিঙ্গ বৃহৎআকারে পরিণত হয়। চিমনি থেকে নির্গত আগুন চিমনির নিচে চলে আসে। সঙ্গে সঙ্গে চিমনির নীচের সংলগ্ন এলাকাত দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। সংস্থার নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রায় ১৫ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। আতঙ্কিত হয়ে পড়ে কর্মী আধিকারিক থেকে লরির খালাসী ও চালাকরাও
এক কর্মী বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিক সুরক্ষা ব্যাপারে একদমই উদাসীন। ভাগ্য জোরে বেঁচে গেছি। আরেকটু হলে গোটা কারখানায় আগুন লেগে যেত।
সংস্থার প্রধান কার্যালয় নির্দেশে একটি পরিদর্শন দল কারখানা পরিদর্শনে আসে। প্রশাসন সূত্রে খবর, এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সংস্থার তরফে জেলা বা মহাকুমা প্রশাসনকে জানানো হয়নি। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে কারখানা পরিদর্শনে যান কারখানা পরিদর্শক দেবায়ন দে। তিনি বলেন, রাতে ওই কারখানাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কারখানা কর্তৃপক্ষ কে বেশকিছু নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। সংস্থার আধিকারিক মহ: আলম বলেন, এমন কিছু ঘটনা ঘটেনি তাই জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়নি।
No comments