তৃতীয় ধাক্কার দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে রাজ্যের দৈনন্দিন কোভিড (COVID-19) গ্রাফে ওঠাপড়া অব্যাহত। কখনও সংক্রমণের হার কমছে, তো কোনও দিন উদ্বেগ বাড়িয়ে তা খানিকটা বাড়ছে। মৃত্যুহারেও একই রকম হেরফের। স্বাস্থ্যদপ্তরের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্য়া…
তৃতীয় ধাক্কার দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে রাজ্যের দৈনন্দিন কোভিড (COVID-19) গ্রাফে ওঠাপড়া অব্যাহত। কখনও সংক্রমণের হার কমছে, তো কোনও দিন উদ্বেগ বাড়িয়ে তা খানিকটা বাড়ছে। মৃত্যুহারেও একই রকম হেরফের। স্বাস্থ্যদপ্তরের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্য়ান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হলেন ৭৫৮ জন। বৃহস্পতিবার যা ছিল ৭৩২। একদিনে রাজ্যে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) বলি ৯। গতকাল অবশ্য এই সংখ্য়া সামান্য বেশি ছিল – ১২। তুলনায় শুক্রবার তা সামান্য কমল। অবশ্য শুক্রবার অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যাও কমল অনেকটা। ৭৪৯ জন কমে তা দাঁড়াল ৯,৬৩৫এ
শুক্রবার রাজ্যের কোভিড গ্রাফ ভালভাবে খেয়াল করলে দেখা যাবে, সংক্রমণের শীর্ষে সেই উত্তর ২৪ পরগনা। এখানে দৈনিক করোনা আক্রান্ত ৮৯ জন। তার পরেই রয়েছে কলকাতা। দুই জেলাতেই গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণহানির সংখ্যা ২। তবে চিন্তা বাড়িয়ে কোভিড গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas)। একদিনে ৮৬ জন নতুন করে মহামারীতে আক্রান্ত হয়েছেন এই জেলায়। করোনা যুদ্ধে সবচেয়ে এগিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৪৭, ২৬২ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। তার মধ্যে মাত্র ১.৬০ শতাংশ রিপোর্ট পজিটিভ।
স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া ১৫,৪১,৭৪৭। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫,১৩,৭৬৬। মৃত্যু হয়েছে মোট ১৮,৩৪৬। ভ্যাকসিন পেয়েছেন প্রায় ২ কোটি ৯২ লক্ষের বেশি মানুষ। সংক্রমণ এড়াতে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত রাজ্যে জারি থাকবে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ। এর সুফল পেতে মরিয়া রাজ্য প্রশাসন। পুজোর পর স্কুল খোলার ভাবনা রয়েছে প্রশাসনের। তার জন্য প্রয়োজনে এই মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে ।
No comments