কলকাতার খিদিরপুর এলাকায় একটি যমজ মন্দির রয়েছে যেখানে 18 ফুট লম্বা কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গ রয়েছে-যা এই অঞ্চলের অন্যতম বড় বলে মনে করা হয়। মন্দিরগুলি দুটি কৃষ্ণ চন্দ্রেশ্বর এবং রক্ত কমলেশ্বর নামে পরিচিত।শিবলিঙ্গের মন্দিরগুলি জর…
কলকাতার খিদিরপুর এলাকায় একটি যমজ মন্দির রয়েছে যেখানে 18 ফুট লম্বা কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গ রয়েছে-যা এই অঞ্চলের অন্যতম বড় বলে মনে করা হয়। মন্দিরগুলি দুটি কৃষ্ণ চন্দ্রেশ্বর এবং রক্ত কমলেশ্বর নামে পরিচিত।
শিবলিঙ্গের মন্দিরগুলি জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল কিন্তু এখন পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।একটি পুকুরের তীরে মন্দিরটি 200 বছর আগে জমিদার জয়নারায়ণ ঘোষাল তৈরি করেছিলেন। এই দুই যমজ মন্দির মুখোমুখি হলেও লিঙ্গের মুখ কিন্তু পুষ্করিণীর দিকে নয়।মন্দিরের নামকরণ করা হয়েছে জমিদারের পিতা ও মাতার নামে। মন্দিরের স্থাপত্য হল অট-চাল যা বাংলার আদর্শ।দুটি মন্দিরের মাঝখানে নন্দী অর্থাৎ শিবের বাহন ষাঁড়ের মূর্তি। প্রচুর সংস্কারের পর মন্দিরগাত্রের কারুকাজ আর প্রায় কিছুই অবশিষ্ট নেই, তবে উঁচু চাতালের ওপর উঠে ভিতরে প্রবেশ করলে দেওয়ালে কিছু পংখের কাজ নজরে আসে। বিশেষত রক্তকমলেশ্বর মন্দিরে। কথিত আছে সাধক রামপ্রসাদ এই মন্দির দেখতে এসে মুগ্ধ হয়ে বলেন কৈলাশ থেকে শিব স্বয়ং নেমে এসেছেন। সেই থেকে জয়নারায়ণ ঘোষালের এই ভূসম্পত্তি ভূকৈলাস নামে খ্যাত হয়।পুষ্করিণীর অপর প্রান্তে নির্মিত জয়নারায়ণ ঘোষাল স্মৃতি মন্দির, তাতে রাজা জয়নারায়ণের উপবিষ্ট মূর্তির হাতে রুদ্রাক্ষের মালা, পরনে উপবীত, খড়ম। সংস্কারের পর পুষ্করিণীর চারদিকে ছোট ছোট ছটি মন্দির তৈরি করা হয়েছে। ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিক থেকে ধরলে পরপর গণেশ, রাম-সীতা, হনুমান, সরস্বতী, রাধা-কৃষ্ণ ও দেবী দুর্গা। এই মূর্তিগুলি রাজস্থান থেকে বানিয়ে আনা হয়েছে।মন্দির চত্বরে নজর কাড়ে দুটি কামান, সিঁড়ির ধাপের অভিনব বিন্যাস।প্রথম থেকেই কুলপুরোহিত নিযুক্ত করেছিলেন চণ্ডীচরণ পাঠককে। আজও তাঁর বংশধরেরাই পুজো চালিয়ে যাচ্ছেন।
মন্দির এবং রাজবাড়ীর সবটা ঘিরে দুশো বিঘে জমি দখল করে গ্যারাজ, বস্তি, একের পর এক কুৎসিতদর্শন ফ্ল্যাটবাড়ি যাদের অধিকাংশই অবৈধ নির্মাণের ফসল।অথচ এই রাজবাড়ি, সংলগ্ন পুকুর, মন্দির ইত্যাদি ১৯৯৬ সাল থেকেই কলকাতা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন কতৃক হেরিটেজ তালিকাভুক্ত।
জমিদার বাড়ির কুলোদেবী দুর্গা মায়ের মন্দিরের সাথে যমজ মন্দির দুটি বানানো হয়েছিলো। কুলোদেবী দুর্গা মায়ের মূর্তি অষ্টধাতু (আট ধাতু) দিয়ে তৈরি।
মন্দির এলাকায় একটি মাঠে শিবরাত্রির সময় হাজার হাজার মানুষের জনসমাগম হয়।
অজানা ভারতবর্ষ
No comments