চালচোর, ত্রিপলচোর, ত্রাণচোর তৃণমূল’, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ঠিক এভাবেই তৃণমূলকে আক্রমণ করেছিলেন বিজেপি নেতারা৷ লকডাউনের শুরুর দিকে চালচুরি এবং ঘূর্ণিঝড় আমফান শেষে ত্রাণচুরি নিয়ে বেজায় বিপাকে পড়েছিল শাসকদলও। এবার ফের সেই চ…
চালচোর, ত্রিপলচোর, ত্রাণচোর তৃণমূল’, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ঠিক এভাবেই তৃণমূলকে আক্রমণ করেছিলেন বিজেপি নেতারা৷ লকডাউনের শুরুর দিকে চালচুরি এবং ঘূর্ণিঝড় আমফান শেষে ত্রাণচুরি নিয়ে বেজায় বিপাকে পড়েছিল শাসকদলও। এবার ফের সেই চালচুরির অভিযোগে উত্তপ্ত হল গোটা এলাকা। তবে এবার অভিযুক্ত তৃণমূল নয়, বরং বিজেপি নেতা মোহনলাল সি।
পটাশপুর থানার সেলমাবাদ এলাকার বাসিন্দা মোহনলাল সি। তিনি সেখানকারই একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকও বটে৷ তাঁর বিরুদ্ধেই উঠল চালচুরির অভিযোগ। স্থানীয়দের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ে আসা শিশুদের মিড ডে মিকের চাল দিচ্ছিলেন না মোহনলাল। প্রশ্ন করলে বলছিলেন, রাজ্য সরকার নাকি চাল পাঠায়নি। অথচ এলাকার অন্যান্য বিদ্যালয়গুলি চাল বিতরন করছে৷ এরপরই বিদ্যালয়ের এক পড়ুয়ার বাবা প্রবীর মান্না অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে।
শিশুদের প্রাপ্য চাল না দেওয়ার অভিযোগ পেয়ে দ্রুত তদন্ত শুরু করে পুলিশ৷ পটাশপুর থানার আধিকারিকদের দাবি, অভিযান চালানোর পর অভিযুক্ত মোহনলাল আত্মগোপনও করে৷ অবশেষে চোর-পুলিশের লুকোচুরি খেলা শেষ হয় শনিবার। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয় মোহনলালকে। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ৷ রবিবার তাকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হলে তার জামিন নাকচ করে দেন বিচারকও। তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয় তাকে।
যদিও মোহনলালের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগকে ভুয়ো বলছে গেরুয়া শিবির। এই প্রসঙ্গে কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, ‘তৃণমূল একটি কাটমানি ও চরিত্রহীন দল। মিথ্যে মামলায় বিজেপি নেতাদের ফাঁসাচ্ছে। কাটমানির পাশাপাশি মানুষের রক্ত চুষে খাচ্ছে এখন। এভাবে আমাদের রোখা যাবে না। গণতন্ত্র জিতবেই।’ বিজেপি নেতাকে পালটা দিয়েছে তৃণমূলও। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিশুদের জন্য মিড ডে মিলের চাল পাঠিয়েছিলেন। স্কুলের প্রধানশিক্ষক তথা বিজেপি নেতা ঠিকমতো চাল দেননি সবাইকে। এবার আইন আইনের পথে চলবে৷ দোষ করলে শাস্তি পেতেই হবে’৷
No comments