রাজ্যের মানচিত্রে আর এক উন্নত গলদা চিংড়ির পরিচয় ঘটাতে চলেছে হলদিয়া। হলদিয়া ব্লকে শুরু হল বংশগতভাবে উন্নত এবং দ্রুত বর্ধনশীল গলদা চিংড়ির চাষ । কেন্দ্রীয় মিষ্টি জল মৎস্য গবেষনা কেন্দ্র (সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্রেশ ওয়াটার একুয়াকাল…
রাজ্যের মানচিত্রে আর এক উন্নত গলদা চিংড়ির পরিচয় ঘটাতে চলেছে হলদিয়া। হলদিয়া ব্লকে শুরু হল বংশগতভাবে উন্নত এবং দ্রুত বর্ধনশীল গলদা চিংড়ির চাষ । কেন্দ্রীয় মিষ্টি জল মৎস্য গবেষনা কেন্দ্র (সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্রেশ ওয়াটার একুয়াকালচার বা সিআইএফএ) ভুবনেশ্বর এর উদ্যোগে রাজ্যে প্রথম হলদিয়া ব্লকের চার জন প্রগতিশীল মাছ চাষির পুকুরে উন্নত গলদা চিংড়ির চাষের প্রদর্শনী ক্ষেত্র স্থাপিত হল। এনাদের হাতে উন্নত প্রজাতীর গলদার মীন তুলে দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন হলদিয়ার বিডিও সঞ্জয় দাস, জয়েন্ট বিডিও অনন্য বেরা, ভূবনেশ্বরের গবেষনা কেন্দ্রের বিজ্ঞানী ডঃ দেবব্রত পন্ডা, ডঃ বিধুদত্ত মিশ্র এবং হলদিয়ার মৎস্যচাষ সম্প্রসারন আধিকারিক সুমন কুমার সাহু সহ অন্যন্যরা।
কেন্দ্রীয় মিঠে জল মৎস্য গবেষনা কেন্দ্রের বরিষ্ট মহিলা মৎস্য বিজ্ঞানী ডঃ বিন্দু রমন পিল্লাই পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনী প্রজননের মাধ্যমে তৈরি করেছেন এই বংশগতভাবে উন্নত এবং দ্রুত বর্ধনশীল গলদা চিংড়ি। যার নাম দিয়েছেন 'সিআইএফএ-জিআই স্ক্যাম্পি' । মৎস্য গবেষনা কেন্দ্রের নজরে হলদিয়া হল আধুনিক উন্নত মাছ চাষের ক্ষেত্র তাই হলদিয়া ব্লকের চার প্রগতিশীল মাছ চাষি শুভ্রজ্যোতি সাহু, শুভেন্দু বল্লভ, পবিত্র মুখার্জী ও কৃষ্ণপদ সামন্তকে স্বনাক্তকরন করে সিফা কেন্দ্রীয় মৎস্য গবেষনা কেন্দ্র ।
এই গলদা চিংড়ি চাষে বৈশিষ্ট কি? উত্তরে হলদিয়ার মৎস্য দপ্তরের আধিকারিক সুমন কুমার সাহু বলেন, “এই উন্নত দ্রুত বর্ধনশীল গলদা চিংড়ি রুই কাতলার সাথে মিশ্রচাষে মাছ চাষিদের লাভের পরিমান অনেকটাই বাড়বে। চিংড়ি মাছের জন্য আলাদা উচ্চ প্রোটিন কৃত্রিম খাবার দিতে হবেনা । রুই কাতলার মাছের খাবারেই গলদা চিংড়ি বৃদ্ধি হবে। এতে কম সময়ে কম খরচে অধিক লাভ পাবে চাষিরা। এটি মিষ্টি জলে অথবা সামান্য নোনা জলে (7 পিপিটি) চাষ করা যায়"।
।
হলদিয়ার মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ গোকুল মাজি বলেন, হলদিয়া ব্লক মাছ চাষে অনেক এগিয়ে একদিকে যেমন ব্লকের বিভিন্ন পুকুরে হারিয়ে যাওয়া দেশি মাছের ব্যাপক চাষ হচ্ছে তেমনি এই উন্নত গলদা চিংড়ির চাষ রাজ্যে প্রথম হলদিয়া ব্লকের হচ্ছে এতে এলাকার মাছ চাষের প্রসার আরো বৃদ্ধি পাবে।
মৎস্য গবেষনা কেন্দ্রের বরিষ্ট বিজ্ঞানী ডঃ দেবব্রত বেরা জানান, বৈজ্ঞানিক আধুনিক মাছচাষে হলদিয়া অনেক এগিয়ে। আমরা ভূবনেশ্বর থেকে এই চিংড়ি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত গাড়ি করে অক্সিজেনের প্যাকেটে করে এনেছি। চার জন মাছ চাষির বিভিন্ন আকারের জলাশয়ে তাই সেই হিসেবে তাদের চিংড়ি মীন দেওয়া হল। হলদিয়া ব্লকে মোট সাড়ে সাত হাজার গলদা মীন দেওয়া হল।
হলদিয়া ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সঞ্জয় দাস জানান,
'সিআইএফএ-জিআই স্ক্যাম্পি' উচ্চ মূল্য, বড় আকার, দ্রুত বৃদ্ধি, ভাল স্বাদের কারণে এবং উচ্চ রপ্তানি চাহিদা রয়েছে। হলদিয়ার চাষের সফলতা অন্যান্য মাছ চাষিদের উদ্বুদ্ধ করবে।
No comments