বাবার সামনে ছেলের মৃত্যু মেশিন ভ্যান ( পিকআপ ভ্যান) দুর্ঘটনায়। মহিষাদল থানার অন্তর্গত তাজপুর এবং টালিভাটা মাঝামাঝি জায়গায় মেশিন ভ্যান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ইটা মগরা গ্রামের বাসিন্দা ননীগোপাল সামন্তের। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়ে…
বাবার সামনে ছেলের মৃত্যু মেশিন ভ্যান ( পিকআপ ভ্যান) দুর্ঘটনায়। মহিষাদল থানার অন্তর্গত তাজপুর এবং টালিভাটা মাঝামাঝি জায়গায় মেশিন ভ্যান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ইটা মগরা গ্রামের বাসিন্দা ননীগোপাল সামন্তের। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ২৯ বছর বলে জানান , মৃত ননী গোপাল সামন্তের বাবা লক্ষী সামন্ত। লক্ষী বাবু থানার সামনে দাঁড়িয়ে আরো জানান , নিজেদের মেশিন ভ্যান করে বড় ছেলে ননীগোপাল সামন্ত এবং ছোট ছেলে গণেশ সামন্ত তিনজনে মহিষাদলআসছিলেন। উদ্দেশ্য মহিষাদল পুরাতন বাস স্ট্যান্ডের কাছে পোস্ট অফিসে টাকা তোলার জন্য। মেশিন ভ্যান টি চালিয়ে ছিল ছোট ছেলে গণেশ সামন্ত। মেশিন ভ্যান এর ডানদিকে বড় ছেলে ননীগোপাল সামন্ত এবং বামদিকে বাবা লক্ষ্মী সামন্ত বসে ছিলেন। তাজপুর এবং টালিভাটার মাঝামাঝি টার্নিং এর কাছে ডান দিকে রাস্তার পাশে একটি মেশিন ভ্যান ( পিকআপভ্যান) দাঁড়িয়েছিল। ঘুরার সময় মেশিন ভ্যান থেকে ছিটকে দাঁড়িয়ে থাকা মেশিন ভ্যান এর উপর ননীগোপাল পড়ে যায়। দাঁড়িয়ে থাকা মেশিন ভ্যান এর হ্যান্ডেলের রড ননী গোপালের মাথায় ঢুকে যায় এবং প্রচন্ড রক্তপাত হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই ননীগোপাল মারা যায়। বর্তমানে দেখা যায় রাস্তায় মেশিন ভ্যান এবং টোটো গুলি যেভাবে বেপরোয়া চালিয়ে নিয়ে যায় । তাতে যে কোন মুহূর্তে অ্যাক্সিডেন্ট বা দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। মেশিন ভ্যান গুলির চাওড়া অনেক বেশি। যেকোনো রাস্তায় যাওয়ার সময় অনেকখানি রাস্তা ঘিরে যায়। যার ফলে সেই রাস্তা দিয়ে কোন সাইকেল , মোটরবাইক ,কোন পাবলিক এর যাতায়াতের ক্ষেত্রে খুবই অসুবিধা হয় ।আর যেকোন মুহুর্তে অ্যাক্সিডেন্ট বা দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। যে কোন রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় মেশিন ভ্যান গুলি র চালকদের হুশ থাকেনা ।বেপরোয়াভাবে মেশিন ভ্যান গুলিকে চালিয়ে নিয়ে যায়। যার ফলস্বরূপ আজকের এই ঘটনা এবং বিগত দিনেও অনেক অনেক ঘটনা মেশিন ভ্যান গুলি দ্বারা ঘটেছে। প্রতিটি থানা এলাকায় মেশিন ভ্যানে যাতে পাবলিক পরিবহন না করতে পারে তার উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
No comments