শহিদবেদীতে মালা দিতে গিয়ে শুভেন্দুকে শুনতে হল ‘চোর’! তারই জেরে সোমবার বেলা বারোটা নাগাদ তপ্ত হয়ে উঠল তমলুকের জেল মোড় সংলগ্ন এলাকা৷ ঘটনাস্থলে পুলিশ না থাকলে বড়সড় সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটতে পারত বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের৷পুলিশ ও স্…
শহিদবেদীতে মালা দিতে গিয়ে শুভেন্দুকে শুনতে হল ‘চোর’! তারই জেরে সোমবার বেলা বারোটা নাগাদ তপ্ত হয়ে উঠল তমলুকের জেল মোড় সংলগ্ন এলাকা৷ ঘটনাস্থলে পুলিশ না থাকলে বড়সড় সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটতে পারত বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের৷
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ভারত ছাড়ো আন্দোলনের শহিদদের স্মরণ করতে এদিন বেলা ১২টা নাগাদ তমলুক জেলখানার সামনে বেনেপুকুর এলাকায় পৌঁছায় তৃণমূল কর্মীরা৷ ছিলেন রাজ্যের দাপুটে মন্ত্রী তথা জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র৷ ঠিক একই সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিজেপির কর্মী, সমর্থকেরা৷ আসেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দু’পক্ষ কার্যত মুখোমুখি হাজির হয়ে যায়৷ ভিড়ের মধ্যে থেকে তৃণমূল কর্মীদের বলতে শোনা যায়, ‘‘চোর চোর চোরটা, শিশিরবাবুর ছেলেটা!’’ যার জেরে পাল্টা তেড়ে যান বিজেপি কর্মীরা৷ ঘটনাস্থলে হাজির থাকা পুলিশ কর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করেন৷ তবে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ আকার নিচ্ছে দেখে সৌমেন মহাপাত্র ও শুভেন্দু অধিকারী দু’জনেই কর্মীদের নিরস্ত করার পাশাপাশি দ্রুত কর্মসূচি সেরে এলাকা ছাড়েন৷
এবিষয়ে সৌমেনবাবুকে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘‘আমরা পুলিশকে জানিয়েই নির্দিষ্ট সময়ে শহিদবেদীতে মালা দিতে এসেছিলাম৷ ওরা আমাদের সময় পৌঁছে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করেছিল৷ আর কেউ যদি চোর বলে থাকেও তিনি তো ভুল কিছু বলেননি৷’’ অন্যদিকে শুভেন্দুর দাবি, ‘‘বাংলার মানুষ জানেন, কে চোর আর কে ভাল৷ নন্দীগ্রামের মানুষ এবারের ভোটে সেই রায়ও দিয়ে দিয়েছেন৷ ফলে আমরা এসব নিয়ে ভাবিত নয়৷’’
No comments