দেখতে দেখতে প্রধানশিক্ষক পদে আমার ৭ বছর হয়ে গেল।আজ আমার কাছে এক গুরুত্বপূর্ণ দিন।আজ থেকে ৭ বছর আগে হাঁসচড়া মৃত্যুঞ্জয় ধনঞ্জয় উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের পদ থেকে পদত্যাগ করে এমন দিনে এই বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক পদে যোগদা…
দেখতে দেখতে প্রধানশিক্ষক পদে আমার ৭ বছর হয়ে গেল।আজ আমার কাছে এক গুরুত্বপূর্ণ দিন।আজ থেকে ৭ বছর আগে হাঁসচড়া মৃত্যুঞ্জয় ধনঞ্জয় উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের পদ থেকে পদত্যাগ করে এমন দিনে এই বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক পদে যোগদান করি।
এই পদে যোগদান করে কত স্বপ্ন ও ইচ্ছে পুষে কাজ করতে শুরু করলাম। বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো ও পড়াশোনার মান্নোয়নের জন্য নানা পরিকল্পনা নিতে শুরু করলাম। যথারীতি ভালো কাজে বাধাবিপত্তি আসতে শুরু করলো। এই পদে আসীন হয়ে জমি সংক্রান্ত সমস্যায় প্রথম সম্মুখীন হতে হয়। দীর্ঘ লড়াইয়ে পরিচালক সমিতির সক্রিয় অংশগ্রহণ ও শুভানুধ্যায়ীদের সাহচর্য এবং সর্বোপরি সহকর্মীদের বিশেষ সহযোগিতায় ধীরে ধীরে সব বাধা অতিক্রম করে একের পর এক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন শুরু করলাম।বিদ্যালয়ের জমির পরিমাণ এক লহমায় অনেকটা বৃদ্ধি পেল।একে একে সোলার প্ল্যান্ট,ITC computer Lab ও Multi Jim চালু হোল। বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কিভাবে হবে তার রূপরেখা তৈরি করা হলো। বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য অর্থ প্রয়োজন। গ্ৰ্যান্ট পাওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় আবেদন ও তদবির করতে শুরু করলাম। বিদ্যালয়ের পূরাতন বিল্ডিং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিদ্যালয় শিক্ষা বিভাগের অর্থানূকূলে রিপেয়ার গ্ৰ্যান্টের সাহয্যে নবকলেবরে সজ্জিত হয়ে উঠেছে। একইসঙ্গে বিদ্যালয় শিক্ষা বিভাগের অর্থানূকূলে দুইটি অতিরিক্ত শ্রেণী কক্ষ নির্মাণ করা হয়েছে। বিদ্যালয়ে সুসজ্জিত লাইব্রেরী কাম লিভিং রুম তৈরি করা হয়েছে। আজ প্রায় ১৬ মাস বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ। অনেক অনেক কাজ বাকি থেকে গেল। আবার কবে যে বিদ্যালয়ের সব স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু হবে, বিশেষ করে এইসব উদ্যোগ যাদের জন্য নেওয়া হয়েছে তাদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছি। অনেক সাধ ছিল কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সবকিছু তালগোল পাকিয়ে গেছে। বিদ্যালয়ে প্রায় উপস্থিত হয়ে শুধুমাত্র নন একাডেমিক কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখা ও উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে রাশি রাশি তথ্য পাঠানো ছাড়া আর ঘন ঘন ভার্চুয়াল মিটিং। আর দিনের শেষে মনের কষ্টগুলো মনে চেপে বাড়ি ফেরা।
অপেক্ষা অপেক্ষা করতে হাঁপিয়ে উঠেছি আর কি ভীষণ মানসিক কষ্টে আছি,তা কেবল আমরাই উপলব্ধি করতে পারি।
No comments