ভারতবর্ষ তখন পরাধীন।সেই সময় আধুনিক বিজ্ঞান চর্চার উন্মুক্ত ক্ষেত্র ছিলনা আমাদের দেশে । ছিল ছোঁয়াছুঁয়ি,বাছবিচার,জাতিভেদ ,বর্নভেদ প্রভৃতির বাড়বাড়ন্ত। এই সময় জন্মগ্রহণ করেন এক মুক্তমনা পুরুষ, যাঁর সারা জীবন ধরে বিজ্ঞান চর্চার…
ভারতবর্ষ তখন পরাধীন।সেই সময় আধুনিক বিজ্ঞান চর্চার উন্মুক্ত ক্ষেত্র ছিলনা আমাদের দেশে । ছিল ছোঁয়াছুঁয়ি,বাছবিচার,জাতিভেদ ,বর্নভেদ প্রভৃতির বাড়বাড়ন্ত। এই সময় জন্মগ্রহণ করেন এক মুক্তমনা পুরুষ, যাঁর সারা জীবন ধরে বিজ্ঞান চর্চার পাশাপাশি,ইতিহাস,বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যের প্রতি ছিল অমোঘ আকর্ষণ।তিনি ছিলেন একদিকে ভারতবর্ষের রসায়ন বিজ্ঞান চর্চার জনক, মারকিউরাস নাইট্রাইটের আবিষ্কর্তা ,বেঙ্গল কেমিক্যালস নামক ওষুধ কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা, অন্যদিকে প্রগাঢ় দেশপ্রেমিক,স্বনির্ভর ভারত গড়ার স্বপ্ন যাঁর দুচোখে,ছিলেন জনপ্রিয় শিক্ষকও। এই কুসংস্কার মুক্ত পুরুষটি তৎকালীন সময়ে সমস্ত সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে মানব সেবার ব্রতে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলেন। স্বনির্ভর ভারত গড়ার লক্ষ্যে,দেশীয় একদল রসায়নবিদ তৈরি করে হাতে কলমে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চার পথ দেখিয়েছিলেন এই বাঙালি বিজ্ঞানী। সেই বিজ্ঞানীর জন্মদিনটি আমাদের মতো সাধারণ বিজ্ঞান কর্মীদের কাছে এক প্রতিজ্ঞার দিন।আসুন আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের ১৬১ তম জন্মদিনটি শ্রদ্ধায় স্মরণ করে তাঁর আদর্শ নিজেদের জীবনে গ্রহণ করি।
No comments