নন্দকুমার ব্লক এর অন্তর্ভুক্ত কাঞ্চনপুর গ্রামের প্রায় 35 থেকে 40 জন কৃষকদের স্বেচ্ছায় দেওয়া 45 বিঘা চাষযোগ্য জল জমি নিয়ে একটি মাছ চাষের ফিশারি তৈরি হয়েছে। এই 45 বিঘা জমিতে কৃষকদের বছরে দুবার ধরে আমন এবং বোরো অর্থাৎ তাইজুন …
নন্দকুমার ব্লক এর অন্তর্ভুক্ত কাঞ্চনপুর গ্রামের প্রায় 35 থেকে 40 জন কৃষকদের স্বেচ্ছায় দেওয়া 45 বিঘা চাষযোগ্য জল জমি নিয়ে একটি মাছ চাষের ফিশারি তৈরি হয়েছে। এই 45 বিঘা জমিতে কৃষকদের বছরে দুবার ধরে আমন এবং বোরো অর্থাৎ তাইজুন চাষ হত। বর্তমানে কৃষকেরা আর ধান চাষ করতে পারছে না । কৃষকদের 10 বছরের লিজ কন্ট্রাক্ট দেওয়া ধান চাষের জল জমিতে মাছ চাষের ফিশারি গড়ে উঠেছে । বর্তমানে কৃষকরা ধান চাষ করছেন না। ফিশারি র মালিকপক্ষের কাছ থেকে অ্যাডভান্সএবং বছরের শেষে তাদের চুক্তি অনুযায়ী টাকা পেয়ে যাচ্ছেন। কাঞ্চনপুর গ্রামের বাসিন্দা একজন প্রান্তিক কৃষক নাম বলতে অনিচ্ছুক তিনি বলেন, এই 40 জন কৃষকের" কৃষক বন্ধু র" টাকা সরকারের পক্ষ থেকে আর দেওয়া উচিত নয় । যেহেতু চাষযোগ্য জায়গাতে মাছের ফিশারি তৈরি হয়েছে ।আর ধান চাষ হয় না। সুতরাং বছরে ধান চাষের কোনো ক্ষয়ক্ষতি ও হয় না। নন্দকুমার ব্লক এর শুধু কাঞ্চনপুর নয়। নন্দকুমার ব্লক এর হাই রোডের চৌরাস্তা থেকে নরঘাট এর ওই সব সাইডে একটিও চাষযোগ্য জমি আর দেখা যায় না ।শুধু চোখে পড়ে মাঠের পর মাঠ , মাছ চাষের ফিশারি । যেসকল কৃষকেরা তাদের চাষযোগ্য জমি মাছ চাষের জন্য দিয়েছেন। তাদেরকে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষক বন্ধুর টাকা দেওয়া উচিত নয় বলে বিভিন্ন মহল জানিয়েছেন । শুধু নন্দকুমার ব্লক নয় , মহিষাদল ব্লক এর ইটা মগরা ১ এবং ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকার বড় বড় মাছের ফিশারি দেখা যাচ্ছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়নাতে কৃষকদের চাষযোগ্য জমি গুলিতে শুধু মাছ চাষ হচ্ছে ।কৃষকদের কে আর ধান চাষ করতে হচ্ছে না।
No comments