সুত্রের খবর, হলদিয়া ব্রজনাথ চক এর বাসিন্দা অনিমেষ বেরা( পিতা সুকুমার) ওরফে রাজা , বিশাল দাস (পিতা প্রশান্ত) এই দুই আসামিকে মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেল থেকে তমলুক জেলা আদালতে নিয়ে আসার পথে পুলিশ ভ্যানের জানলা দিয়ে পালিয়ে যায় 2 …
সুত্রের খবর, হলদিয়া ব্রজনাথ চক এর বাসিন্দা অনিমেষ বেরা( পিতা সুকুমার) ওরফে রাজা , বিশাল দাস (পিতা প্রশান্ত) এই দুই আসামিকে মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেল থেকে তমলুক জেলা আদালতে নিয়ে আসার পথে পুলিশ ভ্যানের জানলা দিয়ে পালিয়ে যায় 2 অভিযুক্ত। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাছিল পুলিশ। চারিদিকে তল্লাশি চালিয়ে রাত্রি ২টা নাগাদ হলদিয়া থানার পুলিশ বিশাল দাস নামে আসামীকে রাত্রী ২ টা নাগাদ হলদিয়া থানার অন্তর্ভুক্ত ওয়ার্ড নং ২২ ব্রজনাথ চক গ্ৰাম থেকে গ্ৰেপতার করে। বর্তমানে আসামি বিশাল দাস হলদিয়া থানাতে রয়েছে।আজ হলদিয়া আদালতে তোলা হবে। পুলিশ অনিমেষ বেরাকে এখনো খুঁজে বেড়াচ্ছে।অবশেষে পালিয়ে যাওয়া দুই বিচারাধিন বন্দির মধ্যে একজনকে পাকড়াও করল পুলিশ৷ তবে অপরজন এখনও অধরায়৷ পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে হলদিয়ার ব্রজনাথচক থেকে গ্রেফতার করা হয় বিচারাধিন বন্দি বিশাল দাসকে৷অপর পলাতক বন্দী অনিমেষ বেরার অবশ্য কোনও খোঁজ এখনও নেই পুলিশের কাছে৷ তমলুকের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অতীন বিশ্বাস বলেন, ‘‘একজন বন্দিকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ অপরজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে৷মঙ্গলবার মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেল থেকে মাদক পাচার কাণ্ডে বিচারাধীন ওই দুই বন্দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তমলুক আদালতে৷ তমলুক আদালতের কিছুটা দূরে বিচারাধীন দুই বন্দী পুলিশের বাসের জানলা ভেঙে চম্পট দেয়। কিভাবে চলন্ত ভ্যান থেকে দুই বিচারবন্দী পালালেন, তা নিয়ে উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন৷ সর্ষের মধ্যে ভূতের গল্পও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না৷ঘটনায় রক্ষীদের কেউ জড়িত রয়েছেন কি না, তা ধৃত বন্দিকে জেরা করে জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী পুলিশ কর্তারা৷ তবে এখনও পর্যন্ত এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি জেলা পুলিশের শীর্ষ কোনও কর্তা৷ অন্যদিকে মঙ্গলবারের মতো বুধবারও জেলার সমস্ত সীমানা সিল করে চলছে পুলিশি চেকিং৷ সড়কের পাশাপাশি তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে জলপথেও৷
অন্যদিকে দায়িত্বে গাফিলতির ঘটনায় ইতিমধ্যেই জেলা পুলিশের পাশাপাশি তদন্তে নেমেছে কারা দফতরও৷ যদিও এবিষয়ে তাঁরা এখনই সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি৷
No comments