টেবিলে মুখ গুঁজে এক মনে কিছু লিখছিলেন সম্পাদক। বাটা'র নো সাউণ্ডে অবারিত দরজা পেরিয়ে টেবিলের সামনে হাজির এক কবি। প্রতিষ্ঠিত নয়, প্রতিষ্ঠা-ভিক্ষু। সম্ভাষণের পর জ্যাকেটের মোড়কে নতুন প্রকাশিত দুটো কবিতার বই-এর সাথে আস্ত একটা হ…
টেবিলে মুখ গুঁজে
এক মনে কিছু লিখছিলেন সম্পাদক।
বাটা'র নো সাউণ্ডে অবারিত দরজা পেরিয়ে
টেবিলের সামনে হাজির এক কবি।
প্রতিষ্ঠিত নয়, প্রতিষ্ঠা-ভিক্ষু।
সম্ভাষণের পর
জ্যাকেটের মোড়কে নতুন প্রকাশিত
দুটো কবিতার বই-এর সাথে
আস্ত একটা হলদিরাম ধরিয়ে দেন হাতে।
বইয়ের জ্যাকেটটা রেখে
প্যাকেটটা ফিরিয়ে দেন সম্পাদক।
বলেন----বাইরের খাবার খাই না।
খাওয়াইও না।
আপ্যায়ন করি যার যার প্যাকেটে।
বিসরেলির বোতলটা অবিশ্যি আমার।
রসকসহীন অনাবেগের ধাক্কায় হতভম্ব কবি।
ভ্রূক্ষেপমাত্র না করেই
বইয়ের পাতাগুলো অভ্যাসমত
পর পর উল্টে যান সম্পাদক।
চোখ তুলে বলেন ---
কি লিখেছ এ-সব?
কেন লেখো ? কার জন্যে ?
শব্দের ঢঙে পর পর অর্থহীন কিছু বর্ণ বসিয়ে ?
আধুনিকতা কি দুর্বোধ্যতা?
নাকি অ-বোধ্যতা?
তারপর বই দুটো এগিয়ে দিয়ে বলেন---
যে কোন একটা কবিতা বুঝিয়ে দাও আমাকে।
তার পর আলোচনা হবে পত্রিকায়।
ঢোঁক গিলে স্মার্ট হওয়ার চেষ্টা করেন কবি।
চোখে দুর্বোধ্যতার ঝিলিক ---
কবিতার মতোই।
মুখে হিরন্ময় নীরবতা...........
আর কপালে শরৎ-প্রভাতের
মুক্তা-বিন্দুর দুর্বোধ্য কিছু সংকেত
ঠিক বইয়ের কবিতার মতোই..............
No comments