Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

হলদিয়া-কলকাতা বন্দরে ভিশন-২০৩০ মাস্টারপ্ল্যান কার্যকর করতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ

হলদিয়া-কলকাতা বন্দরে ভিশন-২০৩০ মাস্টারপ্ল্যান কার্যকর করতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করা হবে। পরিকাঠামো সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণে আগামী কয়েক বছরে ধাপে ধাপে সেই অর্থ বিনিয়োগ করা হবে। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার উপযোগী…

 






হলদিয়া-কলকাতা বন্দরে ভিশন-২০৩০ মাস্টারপ্ল্যান কার্যকর করতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করা হবে। পরিকাঠামো সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণে আগামী কয়েক বছরে ধাপে ধাপে সেই অর্থ বিনিয়োগ করা হবে। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার উপযোগী  স্বয়ংক্রিয় বন্দর গড়তে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেলে জোর দেওয়া হয়েছে। হলদিয়া-কলকাতা মিলিয়ে পণ্য পরিবহণে লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ১১৭ মিলিয়ন মেট্রিক টন অর্থাৎ ১২ কোটি টনের কাছাকাছি। বন্দরকে ঘিরে নয়া পরিকল্পনার কথা জানালেন বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান অমলকুমার মেহেরা। মাঝসমুদ্রে বছরভর বড় জাহাজে অপারেশন করতে আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ, শালুকখালিতে দ্রুত ডক-টু চালু করা, এলপিজি ও কয়লা পরিবহণ বাড়াতে ভিশন-২০৩০ মাস্টারপ্ল্যানে নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে ঝিমিয়ে পড়া হলদিয়া বন্দরকে ফের চাঙা করার চেষ্টা চলছে। 

বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান জানান, ইতিমধ্যেই বন্দরের টেকনিক্যাল কমিটির কাছে মাস্টারপ্ল্যানের চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা পড়েছে। বন্দরের বিভিন্ন বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকরা এটি যাচাই করে নিয়েছেন। আগামী একমাসের মধ্যে এটি চূড়ান্ত করে কাজে নামতে পারবে বন্দর কর্তৃপক্ষ। মেরিটাইম ইন্ডিয়া সামিট ও মেরিটাইম ভিশন ২০৩০ বিষয়গুলিকে সামনে রেখে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি হয়েছে। ভারতের ১২টি মেজর পোর্ট আগামী ১০ বছরে কীভাবে এগবে, কী কী কাজ করবে তা নিয়ে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করেছে। হলদিয়া-কলকাতা বন্দরও আগামী ১০ বছরে ১০০ মিলিয়ন টনের বেশি পণ্য পরিবহণের জন্য পরিকল্পনা তৈরি করেছে। উন্নয়নের যে প্রকল্পগুলি নেওয়া হয়েছে সেগুলি ধাপে ধাপে ২০২২ সাল বা ২০২৪ সালে শুরু হবে। প্রসঙ্গত, বছর দু’য়েক আগে হলদিয়া-কলকাতা বন্দরের পণ্য পরিবহণ বাড়াতে মাস্টারপ্ল্যান তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয় লার্সেন এন্ড ট্যুব্রো সংস্থাকে। সম্প্রতি তারা চূড়ান্ত মাস্টারপ্ল্যান জমা দিয়েছে।

বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, ফের এক দশক পর হলদিয়া বন্দর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে শালুকখালিতে ‘হলদিয়া ডক-টু’র কাজ শুরু হতে চলেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ডক-টু’র শিলান্যাস করেছিলেন। তারপর বিনিয়োগকারীদের টানাপোড়েনে তা রূপায়িত হয়নি। নাব্যতা বেশি থাকায় হুগলি নদীর ধারে শালুকখালিতে বন্দরের নিজস্ব জমিতে নয়া বন্দর এলাকা গড়ার পরিকল্পনা করে। ডেপুটি চেয়ারম্যান জানান, শালুকখালিতে লিকুইড কার্গো হ্যান্ডেলিংয়ের জন্য একটি জেটি তৈরি হবে পিপিপি মডেলে। ফিনান্সিয়াল ক্লোজার উঠে গেলেই বছরখানেকের মধ্যে কাজ শুরু হবে। প্রথম জেটির সাফল্য দেখে ওখানে আরও তিনটি জেটি বানানো হবে। শালুকখালিতে ১৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি টার্মিনাল তৈরি করা হবে যেখানে এলপিজি, এলএনজি ও বিভিন্ন তরল পণ্য জাহাজ থেকে ওঠানামা করবে। কুকড়াহাটি সংলগ্ন ওই গ্রামীণ এলাকার অর্থনীতি বদলে দেবে এই প্রকল্প।

বন্দরের এক কর্তা জানান, সমগ্র উত্তরভারত ও উত্তর-পূর্ব ভারতে কম খরচে লিকুইড পেট্রলিয়াম গ্যাস বা এলপিজি সরবরাহ করতে হলদিয়া বন্দর দুর্গাচক এলাকায় এলপিজির রেলওয়ে সাইডিং তৈরি করছে। উত্তরপ্রদেশ, বিহারে এলপিজি সরবরাহ হয় মথুরা ও জামনগর রিফাইনারি থেকে। যেহেতু আমদানি করা এলপিজির দামে সস্তা, সেজন্য ওই দুই রাজ্য, আসাম সহ উত্তর-পূর্ব ভারতে গ্যাস পাঠাতে হলদিয়া থেকে এবার রেলপথে এলপিজি যাবে। ভারত পেট্রলিয়াম হলদিয়ায় বিদেশ থেকে এলপিজি আমদানি জন্য প্রায় ১২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে ইমপোর্টেড এলপিজি টার্মিনাল তৈরি করেছে। সেই এলপিজি রেলপথে পাঠাতে রেলওয়ে সাইডিং তৈরি হরে। সাগরে মাঝসমুদ্রে যাতে একলপ্তে দেড়লক্ষ টনের বড় কেপসাইজ জাহাজ অপারেশন করা যায় সেজন্য ‘এসটিএস’ অর্থাৎ শিপ-টু-শিপ ট্রান্সমিশন প্রযুক্তি কাজে লাগানো শুরু করেছেন বন্দরের ইঞ্জিনিয়াররা। 

No comments