ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন।https://youtu.be/41xVjIvPgOU দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে ব্যাপক ভীড়, লাঠি হাতে উঁচিয়ে পুলিশ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খোদ এগরার পানিপারুলের ঘটনা। 'দুয়ারে সরকার'- এর শিবিরে যাওয়া তথা…
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন।https://youtu.be/41xVjIvPgOU
দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে ব্যাপক ভীড়, লাঠি হাতে উঁচিয়ে পুলিশ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খোদ এগরার পানিপারুলের ঘটনা। 'দুয়ারে সরকার'- এর শিবিরে যাওয়া তথা 'লক্ষী ভান্ডার' - এর মতো প্রকল্পে নাম তোলানোর জন্য রাজ্যবাসীকে তাড়াহুড়ো না করার বার্তা দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নবান্নে তিনি জানিয়েছিলেন, "তাড়াহুড়ো করা, এক সঙ্গে ভিড় করার কোনও কারণ নেই। প্রকল্পে সুবিধা সবাই পাবেন, যাঁরা পাওয়ার যোগ্য। বেশি ভিড় করবেন না।" তাঁর আশ্বাস ছিল, "এক মাস সময় রয়েছে হাত্ব। যদি কেউ ফর্ম জমা দিতে না পারেন, আমরা আবার জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করব। দরকার হলে স্পেশাল ক্যাম্প করে তিন- চার দিন আরও বাড়িয়ে দেব।" তবে মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দেওয়ার পরেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৃষ্টির মধ্যেও পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার পানিপারুলে শিবিরে ব্যাপক ভিড় ছিল। 'দুয়ারে সরকার' শিবির খুলতেই হুড়োহুড়ি। হুড়মুড়িয়ে পড়ে যান বহু মহিলা। লাঠি হাতে তেড়ে যায় পুলিশ। তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমসিম খায় পুলিশ। কিন্তু 'লক্ষীর ভান্ডার' প্রকল্পের জন্য শিবিরে ভিড় করতে দেখা গিয়েছে মহিলাদের। অধিকাংশেরই মুখে মাস্ক নেই। দূরত্ববিধিও মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। প্রশাসনের 'লক্ষীর ভান্ডার'- এর কাউন্টার বাড়লেও ভিড় কমছে না কেন? এগরা-২ ব্লক এর বিডিও কৌশিষ রায় এর ব্যাখ্যা, "এক জন মহিলার সঙ্গে তাঁর পরিবারের এক-দু'জনও আসছেন। তাই ভিড় বাড়ছে।" পাশাপাশি এগরার পানিপারুলের একটি শিবিরের এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের মন্তব্য, "বিধি মানতে মানুষকে চাপাচাপি করা যাচ্ছে না। কারণ, জনরোষের আশঙ্কা রয়েছে।" এগরা-২ ব্লকের পানিপারুল গ্রাম পঞ্চায়েতের লঙ্কামান্ডিতে আয়োজিত শিবিরে শিশু কোলে লাইনে ছিলেন কুলটিকরী গ্রামের এক মহিলা। তাঁর দাবি, "বাড়িতে বাচ্চাকে দেখার কেউ নেই। তাই সঙ্গে এনেছি। মাস্ক আনতে ভুলে গিয়েছি।" অনেকের মন্তব্য, "ভ্যাপসা গরমে কি মাস্ক পরা সম্ভব?" তবে এ দিন শিবিরে উপস্থিত হয়ে এগরার বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতি বলেন, "তাড়াহুড়ো করার কোন কারণ নেই। প্রকল্পের সুবিধা সবাই পাবেন। শিবিরে গায়ে গা লাগিয়ে বেশি ভিড় করবেন না। কোভিড - সতর্কতাবিধি জারি রয়েছে।" এ দিনের শিবিরে ছিলেন এগরা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীনেশ কুমার প্রধান, জয়েন্ট বিডিও গোপাল শীট, ব্লকের কর্মাধ্যক্ষ আরতি মুন্ডা ও পানিপারুল গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রঞ্জিতা প্রধান প্রমুখ।
No comments