পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়না ব্লকের বৃন্দাবন চক গ্রামে রিয়া বেরা নামে একটি 18 বছরের মেয়ের সাথে পাঁশকুড়ার মোহনপুর গ্রামের স্বর্ণেন্দু মাইতি সঙ্গে মাত্র তিন মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও শাশুড়ি মিলে পনের দাবিতে গৃহ…
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়না ব্লকের বৃন্দাবন চক গ্রামে রিয়া বেরা নামে একটি 18 বছরের মেয়ের সাথে পাঁশকুড়ার মোহনপুর গ্রামের স্বর্ণেন্দু মাইতি সঙ্গে মাত্র তিন মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও শাশুড়ি মিলে পনের দাবিতে গৃহবধূটির উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতো এবং পন না দিলে পুড়িয়ে মারার হুমকি দিত। এই ঘটনার কথা গৃহবধুটি তার বাপের বাড়িতে জানালে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মেয়েটিকে বাপের বাড়ির সঙ্গে দেখা করতে বাধা দেয়। পাঁশকুড়া থানার FIR সূত্রে জানা যায়, পণ না পেয়ে পহলা আগস্ট ভোররাতে গৃহবধূটিকে তার স্বামী ও শাশুড়ি মিলে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে। তারপর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ভোররাতে শাশুড়ি প্রতিমা মাইতি গৃহবধূকে নিয়ে তার বাপের বাড়ির মাকে নিয়ে তমলুক হসপিটালে ভর্তি করে। পাঁশকুড়া থানার পুলিশ খবর পেয়ে সেই দিনই গৃহবধূর স্বামী স্বর্ণেন্দু মাইতি কে গ্রেপ্তার করে। গৃহবধূ টি তমলুক হসপিটালে তিন দিনের মাথায় মারা যায়। তারপর থেকেই তার শাশুড়ি প্রতিমা মাইতি হসপিটাল থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। পাঁশকুড়া থানার পুলিশ তার স্বামী-স্বর্ণেন্দু মাইতি ওরফে ( ভোলা) ও শাশুড়ি -প্রতিমা মাইতি ওরফে (ডলি মাইতির) বিরুদ্ধে IPC 494A/ 340B/34 ধারা মামলা রুজু করে। গতকাল স্বর্ণেন্দু মাইতি কে জেল কাস্টডিতে রাখা হয়। শেষ খবর পর্যন্ত জানা যায় পাঁশকুড়া থানার পুলিশ শাশুড়ি প্রতিমা মাইতি ওরফে ডলি মাইতিকে গ্রেফতার করতে পারেনি।গৃহ বধূর বাপের বাড়ির প্রতিবেশী সহ সকলে ছেলে ও ছেলের মায়ের শাস্তির দাবি তুলেছে।
No comments