হলদিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলর যুবনেতা আজগর আলীকে প্রাণে মারা এবং তাদের পরিবারকে শেষ করে দেওয়ার একটি মেসেজ আসায় সারা হলদিয়া জুড়ে এখন আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
আজগর আলী পল্টু একসময় তৃণমূল কংগ্রেসের হলদিয়া টাউন ব্লকে…
হলদিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলর যুবনেতা আজগর আলীকে প্রাণে মারা এবং তাদের পরিবারকে শেষ করে দেওয়ার একটি মেসেজ আসায় সারা হলদিয়া জুড়ে এখন আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
আজগর আলী পল্টু একসময় তৃণমূল কংগ্রেসের হলদিয়া টাউন ব্লকের সভাপতি এবং পরবর্তীকালে জেলার সহ-সভাপতি হিসেবে কাজ করতেন। একুশে বিধানসভা নির্বাচনে আগে এবং পরে অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে যদি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মুখ ছিলেন আজগর । অজগরের নেতৃত্বে বিভিন্ন ইউনিয়ন অফিস যেগুলো হয়তো একটা সময় বিজেপির ক্ষমতায় চলে যেত কিন্তু তার নেতৃত্বে সেই অফিসগুলো এখন তৃণমূল কংগ্রেসের রয়েছেন। কারণ শুভেন্দু অধিকারী এবং তার অনুগামী হলদিয়ার প্রায় সমস্ত ইউনিয়নের অফিসেই তারাই দেখভাল করতেন। একদিকে সাংসদ অফিস অন্যদিকে বন্দরের শ্রমিক ইউনিয়নের অফিস তার নেতৃত্বে এখনো খোলা হয়। আজগর পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সমস্ত এলাকায় যুব সংগঠন তৈরি করার এক নতুন উদ্যোগ নিয়েছিলেন। বিগত একুশে নির্বাচনে হলদিয়া পৌরসভা ২৯ টি ওয়ার্ডের মধ্যে একমাত্র ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজগর সেই ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেস বেশি ভোট পেয়েছেন। আর সমস্ত ওয়ার্ডগুলো বিজেপির দখলে রয়েছে। ভোট গণনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে একবার জেতানো পরে হারানো এই ঘোষণার প্রতিবাদে এবং পুনরায় গণনা দাবি তুলেছিলেন, দীর্ঘ কয়েক দিন ধরে দুর্গাচক ভোট গণনা কেন্দ্রের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ অনশন শুরু হয় তারই নেতৃত্বে । সেই আজগর আম্ফান ও ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের মানুষ যখন দিশাহীন হয়ে পড়েছেন, তাদেরকে যুব সংগঠনের নেতৃত্বে একত্রিত করে বিভিন্ন জায়গায় তারা রান্না খাওয়ার শুকনো খাবার পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
আজগর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের শুধু নেতৃত্বই নয়, তিনি হলদিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল পূর্ত দপ্তরের দায়িত্বে রয়েছেন।আজগর রাজনৈতিক দলের বাইরে বড় পরিচয় রয়েছে , ন্যাশনাল কার রেলির চ্যাম্পিয়ান ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। শুধু ভারত বর্ষ নয় বাংলাদেশ , নেপাল,ভুটান রাজ্য থেকে আজগর ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকার মান রেখেছেন।
বিজ্ঞাপন
জিবন কে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে কার রালি চ্যাম্পিয়ান অনেকবার হয়েছেন। রাজনীতি তার পেশা নয়, রাজনীতির বাইরে তিনি এবং তার পরিবারের সকলেই ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিকর পরিপূরক। ক্রিকেট ফুটবল ,ভলিবল, কাবাডি বিভিন্ন খেলায় তার পরিবারের সকলেই বিভিন্ন ভাবে যুক্ত। বাবা শেখ মজাফফর প্রাক্তন হলদিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর। তিনি সফল একজন ব্যবসায়ী ও বটে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বর্তমান ইন্টারন্যাশনাল লায়ন্স ক্লাবের বেশ কয়েকটি জেলার গভর্নর। ভিডিজি 2 পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। সেই পরিবারের ছেলে আজগর।সেই আজগর কে তার ফোনে প্রাণে মেরে দেওয়া এবং শুধু তাই নয় তার পরিবারকে শেষ করে দেওয়া একটি ম্যাসেজ এসেছে। রীতিমতো এলাকার মানুষ আতঙ্কিত। ইতিমধ্যে আজগর হলদিয়া ভবানীপুর থানা তে অভিযোগ দায় করেছেন। মা মাটি মানুষের সরকার তৃণমূল কংগ্রেসের গত কয়েকদিন আগেই একটি তালিকা প্রকাশ করেছেন তৃণমূল ভবন থেকে সেখানে আজকের কে উপেক্ষা করা হয়েছে। তিনি তৃণমূলের যুব সভাপতি হিসেবে কাজ করতেন এবং অধিকারী পরিবারের চোখে চোখ রেখে চড়া গলায় প্রতিবাদ করছিলেন। তারপর থেকেই আজগর কে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ দিয়েছেন। সেই আজগর এখন প্রতীক্ষিত ? তাকে প্রাণে মেরে দেওয়া এবং তাদের পরিবারকে শেষ করে দেওয়ার একটি মেসেজ এলো তার মোবাইলে। ইতিমধ্যে হলদিয়া পৌরসভা চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল (পূর্ত বিভাগ) তথা তৃণমূলের যুব নেতৃত্ব আজগর ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
No comments