আফগানিস্তান ইস্যুতে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন তৃণমূল সাংসদ। প্রশস্তিপূর্ণ সেই চিঠিতে, আফগানিস্তান ইস্য়ুতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের ভূয়সী প্রশংসা করলেন দিব্যেন্দু অধিকারী (Dibyendu Adhikari)। আর এই ঘটনাকে ক…
আফগানিস্তান ইস্যুতে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন তৃণমূল সাংসদ। প্রশস্তিপূর্ণ সেই চিঠিতে, আফগানিস্তান ইস্য়ুতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের ভূয়সী প্রশংসা করলেন দিব্যেন্দু অধিকারী (Dibyendu Adhikari)। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুঙ্গে রাজনৈতিক জল্পনা।
প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিতে কী লিখেছেন তৃণমূল সাংসদ (Dibyendu Adhikari)? লিখেছেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহাশয়, আবারও আপনি আমাদের গর্বের কারণ হলেন। আফগানিস্তানে প্রবাসী ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে আপনার নেতৃত্বাধীন পররাষ্ট্রমন্ত্রক যে বিচক্ষণতা ও দূরদর্শীতার পরিচয় দিয়েছে তা অনস্বীকার্য। আফগান শিখ হোন বা হিন্দু সম্প্রদায়েরই হোন না কেন, ভারতবাসীর সুরক্ষায় যে সাহসী পদক্ষেপ করেছেন তা আমাদের পাথেয়। এমনকী, আফগানবাসীদের ভারতে থাকার জন্য যে ফার্স্ট ট্র্য়াক ভিসা চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন তাতে আমি আপ্লুত। লোকসভার সাংসদ হিসেবে আমি বিশ্বাস করি, ভারতীয়দের উন্নতিকল্পে ও সুরক্ষায় আপনি বরাবরের মতো সদর্থক পদক্ষেপ করবেন যুগের যপর যুগ আদর্শ হয়ে থাকবে।”
সদ্যই আফগানিস্তানে কায়েম হয়েছে তালিবানি শাসন। ভয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন হাজার হাজার আফগানিরা। একের পর এক হৃদয়বিদারক ছবি সামনে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের প্রবাসী ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে তত্পর কেন্দ্র সরকার। পাশাপাশি, আফগানবাসীদের জন্য ফার্স্ট ট্র্র্যাক ভিসাও চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতের দরজা আফগানিদের জন্য় খোলা এমনই প্রচেষ্টা কেন্দ্রের। এই পরিস্থিতিতে খোদ প্রধানমন্ত্রীকে ‘স্তুতিপত্র’ প্রেরণে রাজ্যরাজনীতিতে জল্পনা।
বিধানসভা নির্বাচন আবহে ফুল বদল করেছিলেন অধিকারী পরিবারের মেজো ছেলে শুভেন্দু। পরবর্তীতে, পদ্ম শিবিরে নাম লেখান কনিষ্ঠ সৌমেন্দুও। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম বিশ্বস্ত সৈনিক বলেই পরিচিত অধিকারী পরিবারের এমন ‘শীতল দূরত্বে’ রীতিমতো অবাক হয়েছিল ঘাসফুল। পরবর্তীতে, শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগদানের পরেই ধীরে ধীরে অধিকারী পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে শুরু করে ঘাসফুল শিবির। যদিও, শুভেন্দু ও সৌমেন্দু ছাড়া অধিকারী পরিবারের দুই সদস্য দিব্যেন্দু ও শিশির অধিকারী এখনও খাতায় কলমে তৃণমূলেই রয়েছেন। তবে, ‘সিদ্ধান্ত বদল’ করবেন কি না তা জানাতে একমাস সময় নিয়েছেন শুভেন্দু-পিতা শিশির। সেই সময় প্রায় ফুরোনোর মুখে।
অন্যদিকে, শুভেন্দু-জেষ্ঠ্য় দিব্য়েন্দু জানিয়েছিলেন তিনি তৃণমূলেই রয়েছেন। বিধানসভা নির্বাচন আবহে একাধিকবার বিভিন্ন জনসভায় শুভেন্দু বলেছিলেন, তিনি নিজের ঘরেও ‘পদ্ম ফুটিয়ে’ দেখাবেন। প্রসঙ্গত, অধিকারী পরিবারের চার রাজনৈতিক সদস্যই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। নির্বাচন আবহে, কাঁথি ও হলদিয়ায় অধিকারীদের একচেটিয়া আধিপত্য খর্ব করেছে সরকার। রাজ্যে আসন্ন পুরনির্বাচন ও উপনির্বাচন। এছাড়াও, আসন্ন ২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচন। সব মিলিয়ে রাজ্য ও জাতীয় রাজনীতির আবহাওয়া সতত পরিবর্তনশীল। এই আবহে দিব্যেন্দুও ফুল বদল করেন কি না তা নিয়েই জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। প্রধানমন্ত্রীকে এই স্তুতিপত্র যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
No comments