Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

মন্ত্রীকে রাখি পরিয়ে স্ত্রীর স্নেহের চুম্বন করতালিতে ভরে উঠলো অনুষ্ঠান মঞ্চ

দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনে একে অপরকে রাখি পরালেন রাজ্যের সেচ ও জলসম্পদ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র ও তৃণমূল নেত্রী সুমনা মহাপাত্র। স্বামীর কপালে স্ত্রী এঁকে দিলেন স্নেহচুম্বন। হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানালেন তৃণমূল কর্মীরা। রবিবার পাঁশকুড়া এ…

 





দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনে একে অপরকে রাখি পরালেন রাজ্যের সেচ ও জলসম্পদ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র ও তৃণমূল নেত্রী সুমনা মহাপাত্র। স্বামীর কপালে স্ত্রী এঁকে দিলেন স্নেহচুম্বন। হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানালেন তৃণমূল কর্মীরা। রবিবার পাঁশকুড়া এলাকায় তৃণমূলের রাখি বন্ধনের অনুষ্ঠানের অন্যতম দৃশ্য ছিল এমনই।

এদিন পাঁশকুড়া টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সম্প্রীতি  রাখি বন্ধন উৎসবের একে অপরকে রাখি পরাচ্ছিলেন নেতাকর্মীরা। মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রকে একে একে রাখি পরাচ্ছেন নেতারা। প্রায় হঠাৎই মন্ত্রীকে রাখি পরিয়ে দিলেন স্ত্রী সুমনা মহাপাত্র। মঞ্চে আবেগ প্রবণ হয়ে তারপর স্ত্রীকেও রাখি পরালেন সৌমেনবাবু। তার পর ভরা মঞ্চে মন্ত্রীকে চুম্বনও করলেন স্ত্রী। হাততালি দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন উপস্থিত নেতা ও কর্মীরা।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রাজনীতিতে সৌমেন মহাপাত্র উল্লেখযোগ্য নাম। তবে তিনি কাঁথির অধিকারী পরিবারের বিরোধী বলেই পরিচিত। গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পরদিনই তৃণমূল ভবনে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে তাঁর আসন বদল নিয়ে নাম না করে শুভেন্দুকে দায়ী করেছিলেন সৌমেন। বলেছিলেন, ‘‘কারও কারও আপত্তিতেই আমাকে তমলুক থেকে পিংলা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’’ একুশের ভোটে অবশ্য সেই সৌমেন মহাপাত্রদের উপর বিশেষ আস্থা রেখেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। অধিকারী পরিবারের বিরোধী হিসাবে পরিচিত আরেক নেতা অখিল গিরিরও তেমনি গুরুত্ব বাড়িয়েছে দল। একুশের ভোটে দুই নেতার জয়ের পর জুটেছে মন্ত্রিত্ব। সৌমেনের ওপর আআরও দায়িত্ব বেড়েছে।
অন্যদিকে পাঁশকুড়া টাউনের তৃণমূল সভাপতি সুমনা মহাপাত্র অবশ্য স্থানীয় স্তরে রাজনীতি করেন।পাঁশকুড়া চার নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সৌমেন-সুমনা এদিন পাঁশকুড়া টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের রাখিবন্ধন ও সম্প্রীতি উৎসবে যোগ দেন। সেখানে উৎসবে মাতলেন সস্ত্রীক মন্ত্রী। সৌমেন বলেন, সম্প্রীতি রক্ষা করতে হবে সকলকে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ভেদাভেদ ভুলে একে অপরকে কাছে টেনে নিয়ে সৌহার্দের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এটাই বাংলার সংস্কৃতি। পাশাপাশি গেরুয়া শিবিরকে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে আক্রমণ করে বলেন, বিজেপি দল সম্প্রীতি রক্ষা করে না। এরা ভেদাভেদের রাজনীতি করে। তাই কর্মীদের হাতে হাত কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার বার্তা।


No comments