ধাপে ধাপে দীঘাগামী চারটি দূরপাল্লার সাপ্তাহিক ট্রেন চালু হলেও এখনও হাওড়া-দীঘা তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেসের চাকা গড়ায়নি। ট্রেনটি চালানোর দাবি দিন দিন জোরালো হচ্ছে। পুজোর আগে দীঘায় পর্যটক সংখ্যা বাড়বে। বেশিরভাগ পর্যটকের পছন্দ তাম্রলিপ্ত …
ধাপে ধাপে দীঘাগামী চারটি দূরপাল্লার সাপ্তাহিক ট্রেন চালু হলেও এখনও হাওড়া-দীঘা তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেসের চাকা গড়ায়নি। ট্রেনটি চালানোর দাবি দিন দিন জোরালো হচ্ছে। পুজোর আগে দীঘায় পর্যটক সংখ্যা বাড়বে। বেশিরভাগ পর্যটকের পছন্দ তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস। রেলের কাছে এনিয়ে প্রচুর দাবিও গিয়েছে। তাই তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস চালানো নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর। সবকিছু ঠিক থাকলে সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে গড়াতে পারে তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেসের চাকা।
খড়্গপুরের ডিআরএম মনোরঞ্জন প্রধান বলেন, দীঘা-হাওড়া তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেসের বিপুল চাহিদা সম্পর্কে আমরা অবগত। রাজ্য ৫০শতাংশ টিকাকরণ না হলে ট্রেন চালানোর পক্ষপাতি নয়। তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস চালানো নিয়ে রেল বোর্ড এবং রাজ্যের সঙ্গে আমরা কথা বলছি। দীঘা যাতায়াতের পাঁচটি সাপ্তাহিক দূরপাল্লার ট্রেন এবং তিনটি ডেলি এক্সপ্রেস রয়েছে। ইতিমধ্যে দীঘা-আসানসোল, দীঘা-মালদহ টাউন, দীঘা-বিশাখাপত্তনম এবং সবশেষে নিউ জলপাইগুড়ি-দীঘা সাপ্তাহিক ট্রেন চালু হয়েছে। এখন শুধুমাত্র দীঘা-পুরী সাপ্তাহিক বাকি। দীঘা যাতায়াতের তিনটি ডেলি এক্সপ্রেসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেসের। এছাড়াও কাণ্ডারী এক্সপ্রেস এবং এসি সুপার এক্সপ্রেস রয়েছে। ২০২০ সালের মার্চ থেকেই কাণ্ডারী এক্সপ্রেস বন্ধ। গতবছর অক্টোবর মাসে কিছুদিনের জন্য দীঘা-হাওড়া এসি সুপার স্পেশাল হিসেবে চালানো হয়েছিল। কিন্তু, অত্যধিক ভাড়ার কারণে তাতে যাত্রী কম হতো। তারপর নভেম্বর মাস থেকে তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস এবং চার জোড়া লোকাল চালানো শুরু হয়। মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে সেসব ট্রেনও বন্ধ হয়ে যায়।
এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। পূর্ব মেদিনীপুরে সংক্রমণের গ্রাফ কমছে। একটা সময় সংক্রমণের নিরিখে রাজ্যের মধ্যে প্রথম তিনের মধ্যে ছিল এই জেলা। এখন অষ্টম স্থানে চলে যাওয়ায় জেলায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। একইসঙ্গে পুজোর আগে দীঘা নিয়ে পর্যটকদের খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রত্যেকের কৌতূহল, তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস কবে থেকে চলবে? কারণ, দীঘা যাতায়াতের জন্য এই ট্রেন অধিকাংশ পর্যটকেরই প্রথম পছন্দ।
এই মুহূর্তে দীঘার হোটেলে ওঠার জন্য পর্যটকদের ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ কিংবা করোনা পরীক্ষা রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রতিদিন দীঘায় গড়ে ৫০০জন পর্যটকের করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। প্রায় রোজই দু’-চারজনের পজিটিভ রিপোর্ট ধরা পড়ছে। হোটেলে ওঠার পর পর্যটকরা ক্যাম্পে গিয়ে টেস্ট করাচ্ছেন। পজিটিভ রিপোর্ট এলেই সংক্রামিত ও তাঁর সঙ্গীদের হোটেল থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
আগামী ৩১আগস্ট পর্যন্ত দীঘার হোটেলের ঘরের ভাড়ার উপর ন্যূনতম ২০শতাংশ ছাড় রয়েছে। করোনা পরীক্ষার জন্য মাথাপিছু ২০০টাকা খরচ হচ্ছে। তাই পর্যটকদের কিছুটা সাশ্রয় দিতে এবং দীঘায় পর্যটক সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়েই হোটেল মালিক সংগঠন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিধিনিষেধ বাড়ানো হলে সেক্ষেত্রে হোটেল ভাড়ায় ছাড় বাড়ানো হবে বলে দীঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস চালানোর দাবি দিন দিন জোরদার হচ্ছে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে চালানো শুরু হলে ভালো হয়।
No comments