নন্দীগ্রাম: তৃণমূলের মন্ত্রী থাকাকালীন একাধিকবার গলায় খোল ঝুলিয়ে কীর্তন করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। গেরুয়া বসন পরে আরতিও করেছেন। এবার বিরোধী দলনেতার মুখে শোনা গেল কৃষ্ণনাম! সকলের মঙ্গল কামনায় জানকীনাথ মন্দিরেও পুজো দিলেন তিনি।তি…
নন্দীগ্রাম: তৃণমূলের মন্ত্রী থাকাকালীন একাধিকবার গলায় খোল ঝুলিয়ে কীর্তন করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। গেরুয়া বসন পরে আরতিও করেছেন। এবার বিরোধী দলনেতার মুখে শোনা গেল কৃষ্ণনাম! সকলের মঙ্গল কামনায় জানকীনাথ মন্দিরেও পুজো দিলেন তিনি।
তিনি নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী৷ স্বভাবতই, তৃণমূল শিবির থেকে ভেসে এসেছে জোর টিপ্পনি৷ কেউ বলছেন, ‘ভূতের মুখে রাম নাম!’ কেউ বা আরও একধাপ এগিয়ে বলেছেন, ‘‘ভড়ং কিভাবে করতে হয়, তা সত্যি শিখতে হবে বেইমানটার কাছ থেকে!’’
শনিবার সকালে নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে হাজির হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। এদিন ব্রাহ্মণ প্রতিনিধিদের সেবা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন তিনি। সেখানে একশোর বেশি ব্রাহ্মণের হাতে গীতা, শঙ্খ সহ বিভিন্ন সামগ্রী তুলে দেন শুভেন্দু। এরপরে নিজের বক্তব্যের শেষে খালি গলাতেই কৃষ্ণনাম জপ করতে শুরু করেন শুভেন্দু। গেয়ে ওঠেন, ‘‘শ্রী কৃষ্ণ চৈতন্য, প্রভু নিত্যানন্দ….’’
এরপরই তৃণমূল শিবির থেকে ভেসে এসেছে জোর কটাক্ষ৷ নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলনের অন্যতম ছায়া সঙ্গী তথা দাপুটে তৃণমূল নেতা আবু তাহের বলেন, ‘‘ভূতের মুখে রাম নাম! বেইমানের কোনও জাত হয় নাকি!’’ আরও এক ধাপ এগিয়ে জনি আন্দোলনের অপর নেতা সেখ সুফিয়ান বলেছেন, ‘‘ভড়ং কিভাবে করতে হয়, তা সত্যিই শিখতে হবে শুভেন্দুর কাছ থেকে৷’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘তবে ঠিকই আছে৷ এবার ওর হরিনাম জপ করার সময় ঘনিয়ে আসছে৷ তাই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে হাঁটাচলা করতে হচ্ছে৷’’ যদিও এবিষয়ে পাল্টা কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি শুভেন্দুর৷
No comments