এখনও দেশে প্রচলিত রয়েছে পণপ্রথা কিংবা বাল্যবিবাহ। এই রকম প্রথার জেরে দিনের পর দিন অত্যাচারীত হচ্ছে অনেক গৃহবধূরা। অনেক সময় নিজেরদের প্রাণ ও খোয়াতে হয় তাঁদেরকে। ঠিক একইরকম ঘটনা ঘটল পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়াতে।স্ত্রীর বাপের বাড়ি…
এখনও দেশে প্রচলিত রয়েছে পণপ্রথা কিংবা বাল্যবিবাহ। এই রকম প্রথার জেরে দিনের পর দিন অত্যাচারীত হচ্ছে অনেক গৃহবধূরা। অনেক সময় নিজেরদের প্রাণ ও খোয়াতে হয় তাঁদেরকে। ঠিক একইরকম ঘটনা ঘটল পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়াতে।
স্ত্রীর বাপের বাড়ির কাছ থেকে অতিরিক্ত পণের টাকা না পেয়ে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ি সদস্যদের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর থানা সাউথখণ্ড গ্রামে। নির্যাতিতা স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
পটাশপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত স্বামীর নাম আশুতোষ বর। শুক্রবার অভিযুক্তকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তার জামিন নাকচ করে দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছর আগে পাশের গ্রামে এক যুবতীর সঙ্গে পটাশপুর সাউথখণ্ড গ্রামের আশুতোষের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে গৃহবধূর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাত স্বামী শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা অভিযোগ। এমনকি অতিরিক্ত পণের টাকা না পেয়ে প্রায় মারধর করতো স্বামী বলে অভিযোগ।
নির্যাতনের জ্বালা সহ্য করতে না পেরে অবশেষে গৃহবধূ পটাশপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। এখনও পর্যন্ত শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা পলাতক রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এবিষয়ে পটাশপুর থানার ওসি দীপক চক্রবর্তী বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে “।
No comments