‘উপনির্বাচনে হারবে তৃণমূল! বিরোধী দল নয়, এমন মন্তব্য শোনা গেল খোদ মুকুল রায়ের গলায়! যা নিয়ে শুক্রবার রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কিন্তু কেন এমন কথা বললেন বিধানসভা নির্বাচনের পর শাসকদলে প্রত্যাবর্তন করা মুকুল রায় ?কৃষ্ণনগর পুরসভা…
‘
উপনির্বাচনে হারবে তৃণমূল! বিরোধী দল নয়, এমন মন্তব্য শোনা গেল খোদ মুকুল রায়ের গলায়! যা নিয়ে শুক্রবার রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কিন্তু কেন এমন কথা বললেন বিধানসভা নির্বাচনের পর শাসকদলে প্রত্যাবর্তন করা মুকুল রায় ?
কৃষ্ণনগর পুরসভায় সাংগঠনিক কাজে গিয়েছিলেন মুকুল রায় । খাতায় কলমে তিনি এখনও কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক। যে কারণে তৃণমূলে যোগ দেওয়া সত্ত্বেও রাজ্য বিধানসভার পিএসি চেয়ারম্যান পদে আসীন তিনি। এদিন সেই মুকুল রায়ই ভবিষ্যদ্বাণী করলেন বাংলায় আসন্ন উপনির্বাচনে বিজেপিই জিতবে! ‘তৃণমূলের (TMC) হার’ হবে। তাঁর দলীয় অবস্থানে রীতিমতো হকচকিয়ে যান শাসকদলের নেতা-কর্মীরা। মুকুল বলেন, “দেখা যাক উপনির্বাচন হোক। ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে আমি বলতে পারি তৃণমূল উপনির্বাচনে পর্যুদস্ত হবে। কৃষ্ণনগরে ভারতীয় জনতা পার্টি স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠা পাবে। এখানে তৃণমূল হেরে যাবে।” উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনে এই কেন্দ্রে বিজেপির টিকিটেই লড়েছিলেন তিনি। হারিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী তথা অভিনেত্রী কৌশানি মুখোপাধ্যায়কে। সেই ফলাফলের উপর ভিত্তি করেই কি এমন ভবিষ্যদ্বাণী করলেন মুকুল?না। কারণ পরক্ষণেই নিজের ‘বয়ান’ বদল করেন তিনি। বলে দেন, “বিজেপির (BJP) অস্তিত্ব থাকবে না। মা মাটি মানুষের কাছে তাদের সঙ্কট প্রতিষ্ঠিত হবে। ওটা স্লিপ অফ টাং।” যদিও তাঁর সাফাইয়ের পরও রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন, এভাবে নিজের অবস্থান গুলিয়ে ফেললে কাজ করবেন কীভাবে?
উল্লেখ্য, মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে মামলা চলছে। যার জন্য কৃষ্ণনগরে মুকুল রায় নিজেকে বিজেপি নেতা বলেই প্রমাণের চেষ্টা করে থাকতে পারেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। আবার গত কয়েক মাসে তাঁকে যাঁরা কাছ থেকে দেখেছেন, তাঁরা বলেছেন, তিনি মাঝেমধ্যে কথা বলতে গিয়ে গুলিয়ে ফেলেন। এক মুহূর্তে এই বলেন তো অন্য মুহূর্তে অন্য কথা। এ প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের প্রতিক্রিয়া, অনেকে বলবেন ওঁর শারীরিক অবস্থা ঠিক নেই, আবার কেউ বলতে পারেন মানসিক চাপে আছেন। তবে বিজেপির প্রত্যেকেই ওঁর সুস্থ জীবন কামনা করে।
No comments