Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

বান স্ট্যান্ডার্ড কোম্পানি জমি নিচ্ছে রেল মন্ত্রক, আদালত নির্দেশ দিলেও বকেয়া টাকা পায়নি বহু শ্রমিক

বার্ন স্ট্যান্ডার্ডের বিশাল এলাকার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিচ্ছে রেল। বার্নপুর, হাওড়া, রানিগঞ্জ, দুর্গাপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে থাকা হাজার একরের বেশি জমি খুব শীঘ্রই আরপিএফের নজরদারিতে নিজেদের অধীনে নিলেও সেখানে আদৌ ক…

 







 বার্ন স্ট্যান্ডার্ডের বিশাল এলাকার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিচ্ছে রেল। বার্নপুর, হাওড়া, রানিগঞ্জ, দুর্গাপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে থাকা হাজার একরের বেশি জমি খুব শীঘ্রই আরপিএফের নজরদারিতে নিজেদের অধীনে নিলেও সেখানে আদৌ কী হবে তার কোনও পরিকল্পনা খোলসা করতে পারেনি রেল। এনিয়েই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন শিল্পাঞ্চলবাসী। ওই জমি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বিক্রির রাস্তা পরিষ্কার করছে কেন্দ্র, সেই আশঙ্কাই প্রকট হচ্ছে। তবে, রেল ওই জমি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে কোনও প্রজেক্ট শুরু করতে চাইলে তাকে স্বাগত জানিয়েছেন সব শ্রেণির মানুষই। কিন্তু যদি জমি বিক্রি করার পরিকল্পনা নিলে প্রতিরোধের ডাক দিয়ে রেখেছে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।

বার্ন স্ট্যান্ডার্ডের জমিতেই রয়েছে ওয়াগন কলোনি। সেখানে কয়েক হাজার মানুষের বাস। রেল যাতে কোনওরকম ঝঞ্জাটে না পড়ে, তারজন্য কলোনি থেকে বাসিন্দাদের তুলে দিতে জল ও বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে বার্ন স্ট্যান্ডার্ড কর্তৃপক্ষ। তাই কবে ভিটে মাটি ছাড়তে হবে, সেই আশঙ্কায় দিন গুনছে একসময় কারখানার জন্য ঘাম ঝরানো ওয়াগন কলোনির বাসিন্দারা।

১৯১৮ সালে স্যার বীরেন মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে বার্ন স্ট্যান্ডার্ডের পথ চলা শুরু হয়। হাওড়া ও বার্নপুরে কারখানায় ওয়াগন তৈরি শুরু হয়। তেমনই এই সংস্থার অধীনে রানিগঞ্জ ও অধুনা ঝাড়খণ্ডের গুলফা বাড়িতে চুল্লির ইট, মাটির স্ল্যাব, টালি তৈরি হতো। যার কদর ছিল বিদেশেও। পরে ইন্দিরা গান্ধীর হাত ধরে এটি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে আসে। ভারী শিল্পমন্ত্রকের অধীনে বার্ন স্ট্যান্ডার্ড কারখানার যাত্রা শুরু হয়। ২০১০সালে লোকসানে চলা এই সংস্থাকে অধিগ্রহণ করেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন বরাতের জেরে অক্সিজেন পায় কারখানা। ২০১৮সালে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার কারখানা বন্ধ করে দেয়। যদিও বার্ন স্ট্যান্ডার্ড কোম্পানির নিয়ন্ত্রণেই ছিল কারখানার সমস্ত জমি। 

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের নজর পড়েছে বার্ন স্ট্যান্ডার্ডের জমির উপর। তারা যে কোনও মূল্যে সম্পূর্ণ জমির উপর নিয়ন্ত্রণ চায়। এরপরই কোম্পানির বিলুপ্তি ঘটিয়ে জমি ও জমিতে থাকা সামগ্রীর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কাজ শুরু করে রেলমন্ত্রক। তাহলে কি শিল্পাঞ্চলে নতুন কোনও বিনিয়োগ করছে রেল? যদিও সেই সুখবর শোনাতে পারেননি রেলের কোনও আধিকারিক। তাই কারখানার যন্ত্রাংশ জলের দরে বিক্রি করে দেওয়া হবে কি না সেই জল্পনাও জোরালো হয়েছে। 

আসানসোলের ডিআরএম সুমিত সরকার বলেন, আগে হ্যান্ডওভারের প্রক্রিয়া শেষ হোক, তারপর তো নতুন পরিকল্পনা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

রেল দায়িত্বভার তুলে নেওয়ার আগেই কারখানার সামনে শুরু হয়েছে অশান্তি। ওয়াগন কলোনির জল আলোর সংযোগ কেটে দেওয়ায় রাস্তায় নেমেছেন সেখানকার বাসিন্দারা। পরে পুলিসি মধ্যস্থতায় জল দেওয়া হয়। কিন্তু, বুধবার থেকে ফের জল ও আলো বন্ধ। এদিন আসনাসোল পুরসভার প্রশাসক অমর চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে সমস্যার কথা জানান বাসিন্দারা। আরএসপির জেলা সম্পাদক ওয়াগন কলোনির বাসিন্দা আশিস বাগ বলেন, রেল যদি নতুন বিনিয়োগ করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে আমরা স্বাগত জানাব। কিন্তু জমি বিক্রি করে দেওয়া বা কলোনির বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করা হলে তা মানব না। তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্র বলেন, জমি বিক্রির চেষ্টা হলে আন্দোলন হবে।  নতুন বিনিয়োগ হলে ওয়েলকাম।

No comments