গুরুপূর্ণিমার ভরা কোটালে উত্তাল হল দীঘার সমুদ্র। শনিবার সকালে জোয়ারের সময় প্রবল জলোচ্ছ্বাসে মেরিন ড্রাইভের রাস্তা সমুদ্রের জলে ভেসে যায়। দীঘার পাশাপাশি শঙ্করপুর, তাজপুর ও মন্দারমণিতেও ব্যাপক জলোচ্ছ্বাস ছিল। যশ সাইক্লোনের পর শঙ্ক…
গুরুপূর্ণিমার ভরা কোটালে উত্তাল হল দীঘার সমুদ্র। শনিবার সকালে জোয়ারের সময় প্রবল জলোচ্ছ্বাসে মেরিন ড্রাইভের রাস্তা সমুদ্রের জলে ভেসে যায়। দীঘার পাশাপাশি শঙ্করপুর, তাজপুর ও মন্দারমণিতেও ব্যাপক জলোচ্ছ্বাস ছিল। যশ সাইক্লোনের পর শঙ্করপুর ও চাঁদপুরে সমুদ্রবাঁধ মেরামতের কাজ হয়েছে। শনিবার শঙ্করপুর ও চাঁদপুরে দু’জায়গায় সমুদ্রবাঁধের বোল্ডার ধসে সমুদ্রের জল গ্রামে ঢুকে যায়। তাতে চাঁদপুর ও জামড়া গ্রাম জলমগ্ন হয়েছে। সেচদপ্তরের কাঁথি ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার উত্তম হাজরা বলেন, এদিনই দু’জায়গায় জরুরি ভিত্তিতে সমুদ্রবাঁধ মেরামতের কাজ হয়েছে।
শনিবার সকালে জোয়ারের সময় সমুদ্র ফুলেফেঁপে ওঠে। গার্ডওয়াল টপকে একের পর ঢেউ আছড়ে পড়ে। দীঘার বিভিন্ন জায়গায় মেরিন ড্রাইভের উপর হাঁটুসমান জল দাঁড়িয়ে যায়। সমুদ্রের উত্তাল রূপ দেখার জন্য পর্যটকদের সমাগম হয়েছিল। এদিন সকালে ওল্ড দীঘার বিশ্ববাংলা ঘাটে কর্তব্যরত নুলিয়া সৌমেন ঘোড়ই বলেন, গত ২৬মে যশ সাইক্লোনের পর আরও একবার সমুদ্রের ভয়াবহ রূপ দেখলাম। শুক্রবার থেকেই পর্যটক বাড়ছিল দীঘায়। পূর্ণিমার সময় সমুদ্রকে অন্য রূপে দেখা যায়। সেজন্য কোটালের সময় পর্যটক সংখ্যা বাড়ে। শনিবারও ভালো সংখ্যক পর্যটক এসেছিলেন। প্রবল জলোচ্ছ্বাস দেখে পর্যটকরা বেজায় খুশি।
এদিন নিউ দীঘার হলিডে হোম ঘাট, ক্ষণিকা ঘাট, মেরিনা ঘাটেও ভালো সংখ্যক পর্যটক সমাগম দেখা গিয়েছে। নন্দকুমারের সাওয়াবেড়িয়া-জালপাই থেকে জিতেন প্রামাণিক, কোলাঘাটের পশ্চিম বহলা থেকে রঞ্জিত দাস সহ আরও অনেকে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের ছবি দেখার জন্য হলিডে হোম ঘাটে ভিড় জমিয়েছিলেন। তাঁদের অনেকেই হোটেলে উঠেছেন। ধীরে ধীরে দীঘার হোটেলে পর্যটক সংখ্যা বাড়ছে বলে হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের দাবি।
দীঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, পর্যটকদের বেশিরভাগই র্যাপিড টেস্ট রিপোর্ট নিয়ে আসছেন। গত ১২জুলাই কাঁথির মহকুমা শাসক আদিত্যবিক্রম হিরানি ভ্যাকসিনের ডবল ডোজ কিংবা করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট ছাড়া হোটেলে থাকা যাবে না বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। তারপর প্রশাসনিকভাবে অভিযান চালানো হয়। ফলে সাময়িক ভিড় কমে গিয়েছিল। সেইসঙ্গে বিভিন্ন হোটেল প্রায় শুনশান হয়ে গিয়েছিল। এখন ধীরে ধীরে ছবিটা বদলাচ্ছে। করোনা সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেব্যাপারে আমরাও প্রশাসনের সঙ্গে সহমত। এখন পর্যটকরা নিজেরাই টেস্ট করিয়ে আসছেন। তাই আর কোনও অসুবিধা থাকছে না।
রামনগর-১ ব্লকের তালগাছাড়ি-১গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিশ্বজিৎ জানা বলেন, এদিন চাঁদপুরের কাছে সমুদ্রবাঁধের বোল্ডার ধসে গিয়ে এবং সমুদ্রবাঁধ টপকে চাঁদপুর ও জামড়া গ্রামে সমুদ্রের জল ঢুকেছে। আপাতত মানুষজন সরানোর মতো পরিস্থিতি হয়নি। তবে, নোনাজল গ্রামে রয়ে গিয়েছে। আমরা প্রশাসনকে সবটাই জানিয়েছি।
No comments