গ্রামের দাদা প্রানসখা দীপঙ্কর অনেক দূরে অনালোকিত লোকে আজ ! একমাস কলকাতার বেসরকারী হাসপাতালে থেকে জীবন যুদ্ধে পরাজিত হল ১১.৪০মি। অনেক ছোট বেলায় ভাই কে বুকে নিয়ে 'মা ও বাবা' হারিয়ে অনাথ হয়ে বনগোপালপুর মামা বাড়িতে বড় হ ও য়া…
গ্রামের দাদা প্রানসখা দীপঙ্কর অনেক দূরে অনালোকিত লোকে আজ ! একমাস কলকাতার বেসরকারী হাসপাতালে থেকে জীবন যুদ্ধে পরাজিত হল ১১.৪০মি। অনেক ছোট বেলায় ভাই কে বুকে নিয়ে 'মা ও বাবা' হারিয়ে অনাথ হয়ে বনগোপালপুর মামা বাড়িতে বড় হ ও য়া ওর। অপরিসীম দারিদ্রতা ও সামাজিক অবহেলা নিয়ে মাথা তুলে সামাজিক প্রতিষ্ঠায় দৃষ্টনীয় দীপঙ্কর একটি প্রতিষ্ঠান। অঞ্চলের প্রাক্তন প্রধান ওর সহধর্মিণী কৃষ্ণা। ওর সাংগঠনিক দক্ষতার আলোকিত দৃষ্টান্ত কৃষ্ণার প্রধান হওয়া। দুই কন্যাকে উচ্চ-শিক্ষায় সুপ্রতিষ্ঠাদানে মাধ্যমে আমাদের আদর্শনীয় মাস্টার ডিকে(নিকনেম)।
গ্রামের শিক্ষা সংস্কৃতির পরিমন্ডলে ওর ছিলো আবাদ বিচরন। স্কুলের কিংবা ক্লাবের নাটকের মঞ্চে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ও পরিচালকের ভূমিকায় দীপঙ্কর। সুন্দর দর্শন ও কন্ঠে ওর নাটক দলের সহ অভিনেতা আমরা ওকেই অনুকরণ করতাম। সুনামছিলো এলাকায় অসুস্থ রুগী নিয়ে রাত বিরোতে একদল যুবক হাসপাতালে পৌঁছাতাম আমরা। দীপঙ্কর ওইদলের মাথা রাতদিন রুগীর পাশে। ওর কাছে অনেক শিখেছি। বনভোজন বা পংক্তিভোজন আড্ডা দেওয়ার মাস্টার মাইন্ড দীপঙ্কর। দোরো কৃষ্ণনগর বানী মন্দিরের প্রাক্তনী আমরা। মাধ্যমিকে ওর পাশে বসে অঙ্ক প্রাকটিস করতাম আমি। নিজের জীবনের অঙ্ক নির্ভুল কষতে ব্যার্থ হলো আজ দীপঙ্কর। শূন্য হৃদয়ে ভাঙা মননে বন্ধুর স্মৃতি স্মরণ করছি। আমার প্রিয়জন বলে শুধু লিখছি না এই লেখা আমি মনেকরি , এই দীপঙ্করদের সমাজে অনেক প্রয়োজন আছে...
পরিবার পরিজন সহকর্মীদের গভীর সমবেদনা জানাই। দীপঙ্করের আত্মা চিরশান্তি লাভ করুক। ওঁ শান্তি ওঁ!
No comments