Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

৬০০ বছরেরও বেশি পুরানো মাকরচন্ডী মায়ের মন্দির

প্রায় ৬০০ বছরেরও বেশি পুরানো মাকরচন্ডী মায়ের মন্দির, যা অবস্থিত হাওড়া জেলার ডোমজুর থানার অন্তর্গত মাকড়দহ গ্রামে। এই মন্দির নিয়ে অনেক পুরা কথা আজও মন্দিরের আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়ায়। তাহলে আসুন জেনে নিই এই মন্দিরের কিছুটা ইতিহাস। শো…

 






প্রায় ৬০০ বছরেরও বেশি পুরানো মাকরচন্ডী মায়ের মন্দির, যা অবস্থিত হাওড়া জেলার ডোমজুর থানার অন্তর্গত মাকড়দহ গ্রামে। এই মন্দির নিয়ে অনেক পুরা কথা আজও মন্দিরের আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়ায়। 

তাহলে আসুন জেনে নিই এই মন্দিরের কিছুটা ইতিহাস। 

শোনা যায় বহু পূর্বে এই মন্দিরের পিছন দিয়ে নাকি সরস্বতী নদী বয়ে যেত যদিও বর্তমানে তার আর কোন অস্তিত্ব নেই। সেই সময় শ্রীমন্ত সওদাগর নামে কোন এক সওদাগর সরস্বতী নদীর ওপর দিয়ে বাণিজ্যে যাবার সময় মাকরচন্ডী মায়ের স্বপ্নাদেশ পান যে এখানেই মায়ের পূজা করতে হবে এবং সেই সময় পাতাল থেকে প্রায় ১০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট এক বিরাট প্রস্তর খণ্ড উঠে আসে এবং সেই প্রস্তর খণ্ডটিকেই মাতৃ রুপে পূজা করা হত।  এই ভাবেই মায়ের আরাধনা বেশ ভালো ভাবেই চলছিল। কিন্তু হটাত একদিন মন্দিরের পূজারী পূজা করতে করতে মাকে নাকি বলেছিলেন- "মা রে তোর এত উচ্চতা যে আমি তোর সেবাই ভালোভাবে করতে পারিনা, তোর মুখ পর্যন্ত যে আমার হাতটা ভালোভাবে পৌঁছায় নারে মা, তুই একটু নিচু হতে পারিস নে মা!"। এর পরেই মায়ের মূর্তি নাকি পাতালে নেমে যেতে থাকে আর সেই পুরোহিত পূজা ছেড়ে মাকে জড়িয়ে ধরেন। আর আজ সেই কারনেই মায়ের মূর্তি এত ছোট। মায়ের মূর্তি ছোট হওয়ার এই পুরাকথা আজও মাকড়দহ গ্রামবাসী বৃন্দের মুখে শুনতেপাওয়া যায়। এর পর ক্রমেই মন্দির গাত্র জুড়ে বেতের গাছ এবং লতা পাতার দখলদারি শুরু হয়।

অবশেষে ১৭৪৩ সালে এক অন্ধ জমিদার রামকান্ত কুণ্ডু চৌধুরী এই মন্দিরের পুনর্নির্মাণ করেন। শোনা যায় জমিদার প্রথম যেদিন এই মন্দিরে এসেছিলেন উনি ওনার দৃষ্টি শক্তি ফিরে পেয়েছিলেন। আর সেই থেকে আজও এই মন্দিরে নিয়ম মেনে দুবেলা পূজা করা হয়। তো এই ছিল এই মন্দিরের ইতিহাস। 

এই মন্দিরে সারা বছর জুড়েই বিভিন্ন অনুষ্ঠান লেগেই থাকে, তবে পঞ্চম দোলের সময় এখানে প্রায় এক সপ্তাহ জুড়ে বেশ বড়ো করে মায়ের পূজা-আরাধনা করা হয় এবং মন্দিরটিকে আলোকসজ্জায় সু-সজ্জিত করা হয়।

এছাড়া মন্দিরের পাশে এক বিরাট মেলার আয়জন করা হয়। মন্দিরের পাশেই রয়েছে এই শিব মন্দির।

🔴 বর্তমান পরিস্থিতিতি ঠিক হলে একদিন ঘুরে আসবেন এখন ঘরে থাকুন সুরক্ষিত থাকুন আর ঘরে বসে মানস ভ্রমন করুণ ।

🔴কি করে যাবেন - 

হাওড়া থেকে Domjur এর বাস ধরে মাকড়দহ বাস স্টপেজে নামতে হবে নেমে মন্দির হেঁটে ১ মিনিট ।

🔴কলকাতা থেকে এলে Dhulaghar এর যেকোনো বাস এ চেপে Ankurhati তে নেমে সেখান থেকে Toto করে আসতে পারবেন ।


No comments