কোভিড ১৯ এর জন্য থমকে গেছে সমস্ত উৎসব-পার্বণ। রথযাত্রা দূর্গা উৎসব সব যেন নামমাত্র হয়ে আসছে। আজ গুরু পূর্ণিমা রথযাত্রা উৎসব বিভিন্ন জায়গায় সামাজিক দূরত্ব মেনে রথ টানা না হলেও আচার-আচরণ পূজার্চনা সবই চলল নিয়ম অনুযায়ী পূর্ব মে…
কোভিড ১৯ এর জন্য থমকে গেছে সমস্ত উৎসব-পার্বণ। রথযাত্রা দূর্গা উৎসব সব যেন নামমাত্র হয়ে আসছে। আজ গুরু পূর্ণিমা রথযাত্রা উৎসব বিভিন্ন জায়গায় সামাজিক দূরত্ব মেনে রথ টানা না হলেও আচার-আচরণ পূজার্চনা সবই চলল নিয়ম অনুযায়ী পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সুতাহাটা থানার অন্তর্গত গোরান খালি গৌরাঙ্গ ধাম সংলগ্ন পান্নালাল দাস বাড়িতে রাধা কৃষ্ণ জিউর পূজার্চনা ভোগ নিবেদন নিয়ম অনুযায়ী রথ টানার মধ্য দিয়ে গুরু পূর্ণিমার রথযাত্রা সমাপ্ত হল। পান্নালাল দাস দুঃখ করে জানালেন ।নিয়ম অনুযায়ী প্রভূর পুজা অর্চনা করা হয়েছে। তিনি বলেন এই রথের উদ্দেশ্য হল একটা ধর্মীয় সংহতির মধ্যে আনা।প্রধানত বিভিন্ন প্রাদেশিক অঞ্চলের বিভিন্ন ধর্মীয় তীর্থস্থান যেমন মথুরা,বিন্দাবন,পুরীধাম,চেন্নাই,তামিলনাড়ু সহ একাধিক জায়গা থেকে বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে এসে রথ কে সাজানো হয়েছে।পুরীধাম থেকে আনা হয়েছে ধ্বজা,রথের কাঠ ও কাঁছি আনা হয়েছে।
ওই কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে সিংহাসন ও পাটাতন।
তার ওপর ভগবান গৌর-নিতাই বসবে।
মথুরা থেকে কৃষ্ণ আসার কথা থাকলে কোভিডের জন্য আনতে পারেনি।
তামিলনাড়ু থেকে এসেছে বিভিন্ন ধরনের পেতলের কারুকার্য।বৃন্দাবন থেকে নিয়ে আসা হয়েছে পেতলের কলস।ওই কলস রথের ওপর স্থাপন করা হবে।
এভাবে বিভিন্ন ধর্মীয় স্থান থেকে রথের উপকরণ এনে রথ কে সাজানো হয়েছে।এর ফলে মানুষের মধ্যে একটা ধর্মীয় সংহতির বাতাবরণ তৈরি হবে।উল্লেখ্য ২০১৩ সাল থেকে এই রথ চালু হয়।প্রধান উদ্দেশ্য ছিল মানুষের মনের মধ্যে ধর্মীয় প্রগাঢ়তা সৃষ্টি করা।প্রতিবন্ধীদের মনোরঞ্জনের জন্য এই পেতলের রথ প্রত্যেক বছর টানা হয়।
কিন্তু পরপর দু'বছর করোনার কাঁটায় ছেদ পড়েছে রথটানায়।ফলে মন খারাপ রাজপরিবারের সকলের।
জগন্নাথদেব ও রাধাকৃষ্ণ জিউ কাছে একটাই পার্থনা আগামীবছর যেন করোনা চলে যায়।এবং আবার পুনরায় রথ টানা শুরু হয়।
No comments