Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

দৈনন্দিন কাজে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের উদ্যোগ হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষের

অফিস ও কর্মী আবাসনে সৌরবিদ্যুত ব্যবহারের উদ্যোগ নিল হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ। এজন্য হলদিয়ার টাউনশিপে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে সোলার এনার্জি পার্ক। টাউনশিপের বিষ্ণুরামচক সংলগ্ন বন্দরের ৪ একর জমিতে গড়ে উঠছে ১ মেগাওয়াট ক্ষমতাস…

 





 অফিস ও কর্মী আবাসনে সৌরবিদ্যুত ব্যবহারের উদ্যোগ নিল হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ। এজন্য হলদিয়ার টাউনশিপে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে সোলার এনার্জি পার্ক। টাউনশিপের বিষ্ণুরামচক সংলগ্ন বন্দরের ৪ একর জমিতে গড়ে উঠছে ১ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই সোলার প্ল্যান্ট। শুধু হলদিয়া নয়, পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেও এই প্রথম সোলার পার্ক। প্ল্যান্ট বসানোর কাজ প্রায় শেষের পথে, শীঘ্রই বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রায় এক দশক ধরে টানাপোড়েনের পর এটি বাস্তবে রূপ পেতে চলেছে। গত কয়েকবছর ধরে হলদিয়ার বিভিন্ন শিল্পসংস্থায় সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের উদ্যোগ শুরু হয়েছে। কারখানা চত্বরে প্রশাসনিক বিল্ডিংয়ের ছাদে ‘রুফটপ সোলার প্ল্যান্ট’ বসিয়ে সৌরবিদ্যুৎ তৈরি হচ্ছে। এবার সোলার পার্ক গড়ে শহরে দূষণ ঠেকানোর উদ্যোগ নিল বন্দর।

এক দশক আগে ১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বড়মাপের সোলার এনার্জি পার্ক গড়ার উদ্যোগ নেয় হলদিয়া বন্দর। মূল লক্ষ্য ছিল, বন্দর আবাসনের কয়েক হাজার পরিবারের দৈনন্দিন কাজে ও প্রশাসনিক ভবন জওহর টাওয়ারে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করা। এজন্য প্রায় ৪০-৫০ একর জমির দরকার পড়ে। বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে প্রশাসনিক ভবন জওহর টাওয়ার এবং পোর্ট গেস্ট হাউস সংলগ্ন এনভায়রনমেন্ট পার্কের পাশে সোলার পার্ক গড়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু পার্কের গাছ কেটে সোলার এনার্জি পার্ক করার ক্ষেত্রে প্রবল আপত্তি ওঠে। কারণ বন্দরের আবাসন এলাকাকে পরিবেশ পার্ক সবুজের প্রাচীরের মত ঘিরে রয়েছে। তাছাড়া ওই জমি অনেকটা নিচু হওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়। তখন আবাসন এলাকায় একলপ্তে বড় ফাঁকা জমি না মেলায় প্রকল্প সরানো হয় প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে শালুকখালিতে। 

হলদিয়া বন্দরের প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার অমল দত্ত জানান, শালুকখালিতে বন্দরের নতুন জেটি তৈরি হচ্ছে। ওখানে বন্দরের ১২০ একর জমি রয়েছে। ফলে সোলার পার্ক গড়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর তা স্টেট ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের ডিস্ট্রিবিউশন গ্রিডে অর্থাৎ বিদ্যুৎ নেটওয়ার্ক সিস্টেমে পাঠানোর নিয়ম রয়েছে। পরে সেই বিদ্যুৎ হলদিয়ায় এনে ব্যবহার করা হতো। বিদ্যুৎ এতদূর থেকে ট্রান্সমিশনের জন্য বিদ্যুৎ দপ্তরকে ‘হুইলিং চার্জ’ দিতে হতো বন্দরকে। ফলে শালুকখালিতে সোলার পার্ক গড়ে টাউনশিপে বিদ্যুৎ আনতে খরচ বেশি পড়ত। বিদ্যুৎ দপ্তরকে ঩সেই চার্জ মকুব করার আর্জি জানায় বন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু নিয়মের নানা গেরোয় তা সম্ভব হয়নি। তখন বন্দর কর্তপক্ষ ফের প্রকল্প সরিয়ে আনে টাউনশিপে এবং ১০ মেগাওয়াটের জায়গায় তা মাত্র এক মেগাওয়াটে নামিয়ে আনা হয়। 

সোলার পার্কে ইতিমধ্যেই সোলার প্যানেল, ট্রান্সফর্মার বসানো সহ সমস্ত ধরনের কাজকর্ম শেষ। এখন সংযুক্তিকরণের কাজ চলছে। সোলার এনার্জি করপোরেশন ইন্ডিয়া নামে একটি নামী সংস্থা এই প্রকল্পের কাজ করছে। বন্দরের এক আধিকারিক বলেন, ২০১৭ সালে এই পার্কের টেন্ডার হওয়ার পর ওয়ার্ক অর্ডার হয়ে গিয়েছিল। নানা কারণে কাজ শেষ হতে দেরি হল। বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান অমলকুমার মেহেরা বলেন, বিদ্যুৎ তৈরির পর তা গ্রিডে দেওয়া হবে। এনিয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের ফলে সামগ্রিকভাবে দূষণ কমবে। বন্দর ইউনিট পিছু বিদ্যুৎ কেনে ৯ টাকায়। সেখানে সৌরবিদ্যুৎ তৈরিতে ইউনিট পিছু খরচ হবে ৪ টাকা। ফলে ইউনিট পিছু বন্দরের সাশ্রয় হবে ৫ টাকা করে। এই প্রকল্প সাফল্যের মুখ দেখলে বন্দর আরও বেশি সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে জোর দেবে বলে জানান তিনি।

No comments