Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

যশে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বরাদ্দ আরও ৮ কোটি পাবেন মৎস্য, পানচাষি সহ ১৯ হাজার মানুষ

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় যশ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যজীবী, পানচাষি, প্রাণিপালক ও হস্তশিল্পীদের জন্য প্রায় আট কোটি টাকা বরাদ্দ করল নবান্ন। আজ, বুধবারের মধ্যেই ওই টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে। তাতে ১৯হাজার মানুষ উপকৃত…

 





 পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় যশ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যজীবী, পানচাষি, প্রাণিপালক ও হস্তশিল্পীদের জন্য প্রায় আট কোটি টাকা বরাদ্দ করল নবান্ন। আজ, বুধবারের মধ্যেই ওই টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে। তাতে ১৯হাজার মানুষ উপকৃত হবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা মতো ৭জুলাইয়ের মধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় যশে ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফান্ড(এসডিআরএফ)-এর অর্থ পাঠানোর কাজ শেষ হচ্ছে। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত বাবদ প্রয়োজনীয় অর্থ আমরা আগেই পেয়েছি। সেই টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে। কৃষিতে ক্ষতিগ্রস্ত দেড় লক্ষ চাষির অ্যাকাউন্টে ২০কোটি ৭১লক্ষ টাকা পাঠিয়েছে রাজ্য। বাকি উদ্যানপালন, প্রাণিসম্পদ, মৎস্য এবং ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ চলে এসেছে। বুধবারের মধ্যেই ওই টাকা অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় যশ সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্ত ১৬হাজার ৩৪২ জন মৎস্যজীবীর জন্য ৬কোটি ৫৭লক্ষ টাকা চেয়ে নবান্নে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। একইভাবে উদ্যানপালন দপ্তরের অধীনে ১৮৩৬জন ক্ষতিগ্রস্ত পানচাষির জন্য ৯১লক্ষ ৮০হাজার টাকা, ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পে ক্ষতিগ্রস্ত ২৫৮জনের জন্য ১৬লক্ষ ৮৪হাজার টাকা এবং ৬৫০প্রাণিপালকের জন্য ২৪লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছিল। জেলা প্রশাসনের আবেদন অনুযায়ী রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় অর্থ পাঠিয়েছে।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যজীবীদের হেক্টরপ্রতি ৮২০০টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। একজন ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যজীবী সর্বোচ্চ ১৬হাজার ৪০০টাকা এবং সর্বনিম্ন চার হাজার টাকা পাবেন। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যজীবীরা হাঁড়ির জন্য তিনশো টাকা, মাছ ধরার জালের জন্য ২৬০০টাকা, আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত নৌকার জন্য ৫০০০টাকা এবং সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত নৌকার জন্য ১০হাজার টাকা পাবেন। একজন মৎস্যজীবী সর্বোচ্চ দু’টি হাঁড়ির জন্য ক্ষতিপূরণ পাবেন। 

এছাড়াও হস্তশিল্প, তাঁত ও খাদি কারিগরদের যন্ত্র নষ্ট হওয়ার জন্য মাথাপিছু ৪১০০টাকা, কাঁচামাল ও তৈরি হওয়া সামগ্রী নষ্ট হলে মাথাপিছু ৪১০০টাকা দেওয়া হবে। হস্তশিল্প, তাঁত ও খাদির গোডাউন, কারখানা কিংবা শোরুম ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রতিটি ইউনিটের জন্য ১০হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এজন্য মোট ১৬লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পানচাষিরা মাথাপিছু পাঁচ হাজার টাকা পাবেন। গতবছর উম-পুন সাইক্লোনের সময়ও ক্ষতিগ্রস্ত পানচাষিরা পাঁচ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য পেয়েছিলেন। ক্ষতিগ্রস্ত প্রাণিপালকদের জন্য মোট ২৪লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। দুগ্ধবতী গাভি ও মহিষের জন্য ৩০হাজার টাকা, ছাগল ও ভেড়ার জন্য তিন হাজার টাকা, বলদের জন্য ২৫হাজার টাকা এবং বাছুরের জন্য ১৬হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন ক্ষতিগ্রস্ত প্রাণিপালকরা।

কৃষি ও মৎস্য চাষ নির্ভর পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে অনেক চাষি এবং মৎস্যজীবী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। গত ৩ থেকে ১৮ জুন ক্ষতিগ্রস্তদের কাছ থেকে আবেদন সংগ্রহ করেছে জেলা প্রশাসন। তারপর এনকোয়ারি করে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা বানিয়ে সেইমতো অর্থ চাওয়া হয়। প্রায় দেড় লক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত চাষিকে এসডিআরএফ থেকে ২০কোটি ৭১লক্ষ টাকা দিচ্ছে রাজ্য। এছাড়াও জেলার প্রায় সাড়ে ১৬হাজার ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যজীবীর জন্য রাজ্য ৬কোটি ৫৭লক্ষ টাকা দিল। মৎস্যজীবীদের জলাশয় শোধন করার জন্য আগেই প্রয়োজনীয় অর্থ দেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ, উদ্যানপালন এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ক্ষয়ক্ষতির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ দিয়েছে রাজ্য। আমরা ৭জুলাইয়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি।

No comments