বাংলা ভাগের প্রস্তাব দেওয়ায় এবার আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা এবং বিষ্ণুপুর লোকসভার সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এর বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় এফআইআর করল উত্তর দিনাজপুর জেলা বাংলা পক্ষের সভ্য সমর্থকেরা। তাদের দাবি, বাংলা ভাগের দাবি তোলায়, অবি…
বাংলা ভাগের প্রস্তাব দেওয়ায় এবার আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা এবং বিষ্ণুপুর লোকসভার সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এর বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় এফআইআর করল উত্তর দিনাজপুর জেলা বাংলা পক্ষের সভ্য সমর্থকেরা। তাদের দাবি, বাংলা ভাগের দাবি তোলায়, অবিলম্বে ওই দুই সাংসদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।সংগঠনের পক্ষ থেকে শুভঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘বুধবার বিকেলে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ থানায় বাংলা পক্ষের জেলা কমিটির তরফে সাংসদ জন বার্লা এবং সৌমিত্র খাঁ এর বিরুদ্ধে একটি আইনি পদক্ষেপের আর্জি জানিয়ে অভিযোগ জমা দেওয়া হয়। ওই দুই সাংসদ যে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন, তা সম্পূর্ণভাবে তা চক্রান্তমূলক ও দেশ বিরোধী।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুই সাংসদ বাংলা ভাগের ষড়যন্ত্র করে, যেভাবে উত্তর বঙ্গের মানুষদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করছেন, আমাদের সংগঠন সম্পূর্ণভাবে তার বিরোধী। তাই এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করতে থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।’উল্লেখ্য, সম্প্রতি আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা উত্তর বঙ্গের জেলা গুলোকে নিয়ে নতুন উত্তর বঙ্গ রাজ্য বা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল তৈরির বক্তব্য রাখেন। শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কানাইয়া লাল আগর ওয়াল স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন যে, তৃণমূল কংগ্রেস এই বঙ্গ বিভাজনের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই রায়গঞ্জে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে তৃনমূল কংগ্রেসের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা। যদিও রায়গঞ্জে এসে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ভারতীয় জনতা পার্টি কখনই রাজ্য ভাগের পক্ষে নয়।’এবার রায়গঞ্জ থানায় ভারতীয় জনতা পার্টির দুই সাংসদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ দাবি করায় এর রেশ অনেক দূর যাবে বলেই মনে করেন রাজনৈতিক মহল। এদিন শুভঙ্কর ঘোষ ছাড়াও বাংলা পক্ষের যে সকল সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন, তারা হলেন শান্তনু চক্রবর্তী, মোস্তাক হোসেন, আংশিক দাস, সুমন, দীপ দাস, নিলাদ্রী ভৌমিক প্রমুখ।
No comments