২০০০ সালের ২৭শে জুলাই বীরভূম জেলার সুচপূরের নানুরে চার বিঘা জমিতে চাষের অধিকার নিয়ে সিপিআইএম কর্মীদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের গন্ডগোল হয়। ১১ জন তৃণমূল সমর্থক খেতমজুরকে খুন করা হয়। এই সংঘাত সাম্প্রতিক কালের এক অন্যতম রাজনৈতিক সংঘাত …
২০০০ সালের ২৭শে জুলাই বীরভূম জেলার সুচপূরের নানুরে চার বিঘা জমিতে চাষের অধিকার নিয়ে সিপিআইএম কর্মীদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের গন্ডগোল হয়। ১১ জন তৃণমূল সমর্থক খেতমজুরকে খুন করা হয়। এই সংঘাত সাম্প্রতিক কালের এক অন্যতম রাজনৈতিক সংঘাত হিসেবে পরিচিত। ওই গণহত্যার পরে নানুরের বাসপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শহিদ বেদি তৈরী করে ‘শহীদ দিবস’পালনের আয়োজন করেন তখনকার বিরোধী নেত্রী বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।২০১০ সালে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৎকালীন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী হিসেবে এই মৃতদের খুনের বিচার করাতে দিতে উদ্যোগী হন। এই গণহত্যার জন্য অপরাধী হিসেবে ৪৪ জন দোষী সাব্যস্ত হয় এবং যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত হন। এই রায় খুবই ঐতিহাসিক। এই প্রথম বাংলায় কোনও গণহত্যায় এতজন দোষী সাব্যস্ত হয়। সেই থেকে আজ দিনে নানুর দিবস পালন করে তৃণমূল কংগ্রেস। হলদিয়া শহর তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে হলদিয়া পৌরসভা রবীন্দ্র নজরুল মঞ্চে রক্ত দান শিবির ও চারাগাছ বিতরণ করলেন। প্রায় চার শতাধিক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী আজ রক্তদান শিবিরে রক্ত দিলেন সংহতি বজায় রাখার জন্য। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে প্রতিবছরের মতো এবছরও রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হল হলদিয়া পৌরসভা রবীন্দ্র নজরুল মঞ্চে। হলদিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলর আজিজুল রহমান নেতৃত্বে আজকের এই শহীদ স্মরণ সভা।সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দেব প্রসাদ মন্ডল, হলদিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান সুধাংশু শেখর মন্ডল , হলদিয়া পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র প্রামাণিক,হলদিয়া বিধানসভার কো-অর্ডিনেটর স্বপন কুমার নস্কর, উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক বিপ্লব রায় চৌধুরী জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব এবং এলাকার কর্মীবৃন্দ। আজকের সভায় সঞ্চালনা করেন হলদিয়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা পৌরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলর আজিজুল রহমান তিনি জানান সামাজিক দূরত্ব প্রায় চার শতাধিক যুবক যুবতী আজকের এই রক্তদানে সামিল হয়েছেন। আজ আমরা প্রতিবছরের মতো এবছরও নানুরের গণহত্যা শহীদ দিবস পালন করছি ।সেই সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর জন্য।
No comments