আগামী ৯ অগাস্ট ভারত ছাড়ো আন্দোলনের দিন জেলার প্রতিটি এলাকা থেকে লাখো মানুষকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে জড়ো করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ তাঁর ওই ঘোষণার পরই চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে৷ উঠেছে প…
আগামী ৯ অগাস্ট ভারত ছাড়ো আন্দোলনের দিন জেলার প্রতিটি এলাকা থেকে লাখো মানুষকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে জড়ো করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ তাঁর ওই ঘোষণার পরই চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে৷ উঠেছে প্রশ্ন৷ ইতিমধ্যেই শাসকদল তৃণমূলের তরফে জেলা পুলিশের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে যে করোনা আবহে এভাবে যদি জমায়েত করা হয়, তাহলে তো সংক্রমণ আরও বাড়বে৷
সূত্রের খবর, তৃণমূলের তরফে শুভেন্দুর ওই ঘোষণার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের আর্জি জানানো হয়েছে৷ বিষয়টি ভেবে দেখছে জেলা পুলিশও৷ জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘করোনা আবহে কোনও ধরণের জমায়েতই আমরা বরদাস্ত করব না৷ ফলে অনুমতি দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না৷ তারপরও যদি বেআইনিভাবে জমায়েত হয়, তাহলে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে৷’’
ঘটনার সূত্রপাত, ভোট মিটলেও অশান্তি মেটেনি৷ শাসকদল তৃণমূল বেছে বেছে বিরোধী কর্মী, সমর্থকদের ওপর হামলা করছে এবং পুলিশ দিয়ে মিথ্যে মামলায় ফাঁসাচ্ছে বলে আগে থেকেই সরব গেরুয়া শিবির৷ এদিন ওই দাবিকে সামনে রেখেই তমলুকে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় ঘেরাও করে বিজেপি৷ নেতৃত্বে ছিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ সেখানেই পুলিশ সুপারকে কার্যত ‘দলদাস’ হয়ে কাজ না করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘নিরপেক্ষতা বজায় রাখুন৷’’
এদিনের এই সমাবেশ থেকে জেলা পুলিশ সুপারকে কার্যত হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ৷ সেখানেই শুভেন্দু ঘোষণা করেন, ‘‘পুলিশ নিরপেক্ষ ভাবে কাজ না করলে আগামী ৯ অগাস্ট ভারত ছাড়ো আন্দলনের দিন সারা জেলার লাখো মানুষকে এনে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে৷’’ এবিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তৃণমূলের জেলা নেতা তথা রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি৷
তিনি বলেন, ‘‘এসপি অফিস ঘেরাও করে কেউ যদি ভাবে অপরাধ থেকে ছাড় পেয়ে যাবে তা হবে না৷ আই আইনের পথে চলবে৷ ফলে আতঙ্কে অনেকেই অনেক কিছু করবে৷ তাতে কিছু আসে যায় না৷’’ প্রসঙ্গত রবিবারই কার্যত শুভেন্দুর গ্রেফতারির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অখিল৷ তারপরই এদিন পুলিশ সুপারের অফিসে শুভেন্দুর ঘেরাও কর্মসূচি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে৷
No comments