একবিংশ শতকে দাঁড়িয়েও মহিলা সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন ওঠে ওয়াকিবহাল মহলে। এইরকমই একটি নক্কারজনক ঘটনা শিহরণ জাগাল। বৌমাকে ধর্ষণ করার অভিযোগে গ্রেফতার হল ভাসুর। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর থানার গোপালপুর এলা…
একবিংশ শতকে দাঁড়িয়েও মহিলা সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন ওঠে ওয়াকিবহাল মহলে। এইরকমই একটি নক্কারজনক ঘটনা শিহরণ জাগাল। বৌমাকে ধর্ষণ করার অভিযোগে গ্রেফতার হল ভাসুর। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর থানার গোপালপুর এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ভাসুর সঞ্জীব সাউ। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। শুক্রবার অভিযুক্তকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তুলে জেল হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, ধর্ষিতা ওই গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সাত সকালে ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে গিয়েছিলেন ওই গৃহবধূ। তখন পরিবারের বাকি সদস্যরা ঘুমাচ্ছিলেন। সেই সুযোগে একা পেয়ে জোর করে বৌমাকে বাথরুমে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে তাঁর ভাসুর। তৎক্ষণাৎ, ওই গৃহবধু চিৎকার করলে তাঁকে ছেড়ে দেয় তাঁর ভাসুর। এরপর এদিন দুপুরে ওই গৃহবধু তাঁর স্বামীকে সব কথা জানিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়। অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসে পটাশপুর থানার পুলিশ। রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
এদিকে, পটাশপুর থানার ওসি দীপক চক্রবর্তী জানিয়েছেন,”অভিযোগের ভিত্তিতে ভাসুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এর পাশাপাশি ওই গৃহবধূকে সরকারী হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। শনিবার কাঁথি আদালতে গৃহবধূকে গোপন জবানবন্দি জন্য পাঠানো হবে “।
অন্যদিকে, ধর্ষিতা গৃহবধূর স্বামী বলেন “অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি চাই।” যদিও এই বিষয়ে অভিযুক্ত সঞ্জীব সাউ ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
No comments