Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

শুভেন্দুর খাসতালুকে ভয়ে সন্ত্রস্ত বিজেপি কর্মীরা

ভোটের পরেও আতঙ্ক কিছুতেই কমতে চাইছে না। যদিও নির্বাচনে জিতেছে বিজেপি তা সত্বেও তাঁদের উপর হামলা হচ্ছে বলেই বার বার ত্রিওমুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিজেপি কর্মী সমর্থকদের এখনও সন্ধ্যা নামলেই আতঙ্কের মধ্যে দি…

 





 


ভোটের পরেও আতঙ্ক কিছুতেই কমতে চাইছে না। যদিও নির্বাচনে জিতেছে বিজেপি তা সত্বেও তাঁদের উপর হামলা হচ্ছে বলেই বার বার ত্রিওমুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিজেপি কর্মী সমর্থকদের এখনও সন্ধ্যা নামলেই আতঙ্কের মধ্যে দিন গুণতে হচ্ছে। এমনটাই দাবি করেন সেখানের বিজেপি কর্মীরা। কারণ ফের তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে রাতের অন্ধকারে বিজেপি কর্মীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে জঙ্গলে ফেলে দেওয়ার।

এই ঘটনাটি ঘটছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর মহম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিমবাড় গ্রামে। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করে ভগবানপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই সম্পূর্ণ ঘটনার পিছনে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রয়েছে বলেই দাবি করেছে বিজেপি। তবে এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্বরা। এই কথা শনিবার সকালে প্রকাশ হতেই ভগবানপুরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

বিজেপির অভিযোগ করেছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর বিধানসভার মহম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে পশ্চিমবাড় সঞ্জয় রাউত নামে এক যুবক বিজেপি সক্রিয় কর্মী ছিল। শুক্রবার গভীর রাতে তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতিকারীরা সঞ্জয় রাউৎ বাড়িতে হাজির হয়। তাকে জোর করে তুলে নিয়ে আসে বলে অভিযোগ। তুলে নিয়ে যাওয়ার পরেই বেধড়ক মারধর করে অচৈতন্য অবস্থায় বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে জঙ্গলে ফেলে দিয়ে যায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এমনটাই অভিযোগ করেছে বিজেপি

সেই ঘটনা জানতে পেরেই ঘটনার জানাজানি হতেই রাতেই বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হাজির হয় এলাকার বিজেপি নেতৃত্বরা। খবর দেওয়া হয় ভগবানপুর থানার পুলিশকে। তারপরেই বাড়ি থেকে কিছুটা দুরে জঞ্জল থেকে সঞ্জয় রাউতকে উদ্ধার করেন ভগবানপুর গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিজেপি কর্মী সঞ্জয় রাউৎ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শুধু মারধোর নয় সেই সঙ্গে বিজেপি কর্মীর বাড়ীতে থাকা টোটো ভাঙচুর করেছে বলেও তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে


ভগবানপুর থানার ওসি নাড়ুগোপাল বিশ্বাস বলেছেন, “ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই এলাকায় ছুটে যাই। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি। এলাকায় রীতিমতো পুলিশী টহল চলছে। যদিও এখনো পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে।” এই ঘটনা প্রসঙ্গে ভগবানপুরে বিজেপি নেতা দেবব্রত কর বলেছেন, “ভগবানপুর বিধানসভায় বিজেপির জয় কোন মতেই মেনে নিতে পারেনি তৃণমূলরা। তাই রাতের অন্ধকারে বিজেপি সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে। ভগবানপুর এক ব্লকের তৃণমূল ব্লক নেতা অভিজিৎ দাসের মদতে এরকম ঘটনা ঘটছে। পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি। দোষীদের গ্রেফতার না করলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন।”

যদিও এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্বরা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কো-অর্ডিনেটর মামুদ হোসেন বলেন “এই ঘটনার সঙ্গে তাদের দলের কোনো কর্মী যুক্ত নয়। ভগবানপুর বিধানসভায় বিজেপি জয়লাভের পরই তাদের গোষ্ঠী কোন্দল বেড়ে গিয়েছে। তার কারণে এমন ঘটনা। প্রচারে আসার জন্যই এই নাটক করছে।”

No comments